চট্টগ্রাম সংগঠন খবর

সাংবাদিক সংগঠন নিয়ে ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে

 

বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচন ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) নিয়ে যে কোন ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রামের সাংবাদিক নেতারা। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এ ঘোষণা দেন। বিএফইউজে নির্বাচন বন্ধ করার অপতঁৎপরতা এবং সিইউজের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস, সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সিইউজের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, মোস্তাক আহমদ, শহীদ উল আলম, সিনিয়র সহসভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটো, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাশ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি স. ম. ইব্রাহীম, সিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম ইফতেখারুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক কাশেম শাহ্, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইফতেখার ফয়সাল, নির্বাহী সদস্য মহরম হোসাইন, প্রেস ক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলিউর রহমান, কার্যকরী সদস্য শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, সিইউজের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রণব বড়–য়া অর্নব, আহমেদ কুতুব, প্রতিনিধি ইউনিট প্রধান সাইদুল ইসলাম, টিভি ইউনিট প্রধান মাসুদুল হক, সদস্য এ কে আজাদ, সুবল বড়ুয়া প্রমুখ।
এ ছাড়াও সামবেশে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের গ্রন্থাগার সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, সিইউজের পূর্বদেশ ইউনিটের প্রধান জীবক বড়–য়া, প্রতিনিধি ইউনিটের ডেপুটি চিফ র্সওয়ারুল আলম সোহেল, সিইউজে সদস্য মাখনলাল সরকার, মো. আলী পাশা, শতদল বড়ুয়া, ইউসুফ সবুর, বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, আবু মোশাররফ রাসেল, ফরিদ উদ্দিন, আজজুল কদির, আবদুল হান্নান কাজল, হুমায়ুন মাসুদ, চৌধুরী আহসান খুররম, ইব্রাহিমদ মুরাদ, মিনহাজুল ইসলাম, পারভেজ রহমান, গোলাম সরওয়ার, সরওয়ার কামাল, জাবেদুর রহমান, শৈবাল আচার্য, চম্পক চক্রবর্তী, সুরঞ্জিত শীল, কমল দাশ, কাউসার খান, জমির উদ্দিন, শরীফুল ইসলাম রুকন, বাচ্চু বড়ুয়াসহ চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে মোহাম্মদ আলী বলেন, একজন মানসিক বিকারগ্রস্থ ব্যক্তিকে সামনে রেখে মিথ্যা মামলাসহ নানা ষড়যন্ত্রে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর আন্দোলন-সংগ্রামকে বাধাগ্রস্থ করছে একটি চক্র। সাংবাদিকদের শত্রæ হিসেবে চিহ্নিত এ চক্রকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা জরুরী। তিনি বলেন, মানসিক বিকারগ্রস্থ ওই ব্যক্তিকে নির্বাচনের মাধ্যমে সাংবাদিকরা প্রত্যাখান করেছে। সংগঠন বিরোধী অপতৎপরতার জন্য সাংবাদিক সংগঠনগুলো একের পর এক তাকে বহিষ্কার করছে। তার বিরুদ্ধে একটি সংগঠনে আর্থিক অনিয়মের তদন্তও চলছে। তব্ওু নিজেকে না সংশোধন না করে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ তুলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি। এই মামলাবাজকে যারা পৃষ্টপোষকতা দিচ্ছেন তাঁদের প্রতিও হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেন তিনি।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস বলেন, সিইউজের ওপর সরকারের আস্থা রয়েছে বলেই এই সংগঠনের দায়িত্বরত কমিটির কার্যকালেই সরকার ৮১ লাখ ২০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল এই সংগঠন নিয়ে ষড়যন্ত্র করে কোন দুষ্কৃতিকারীই রেহাই পাবে না। চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজ সিইউজের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।
সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকদের কঠিন সময়ে সাংবাদিক সংগঠনগুলো যখন রুটি-রুজির আন্দোলনে কাজ করে চলছে, তখন বারবার তাদের সেই কার্যক্রমকে বাধগ্রস্থ করতে একজন ব্যক্তি মামলা-ষড়যন্ত্র করে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সংগঠনে আজীবন নিষিদ্ধ হওয়া ওই ব্যক্তি বিএফইউজে নির্বাচনে মৃত ব্যক্তিদের ভোটার করার জন্য আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করছেন। কিন্তু সিইউজের দৃঢ় পদক্ষেপের কারণে তার প্রতিটি ষড়যন্ত্রই ভেস্তে গেছে। এ মামলাবাজকে কোনভাবেই ছাড় দেয়া যাবে না।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি চৌধুরী ফরিদ বলেন, চট্টগ্রামের মামলাবাজ মনে করেছিল মামলা করে সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ সংগঠন বিএফইউজের নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করবে। তার সেই অপতৎপরতা সফল হয়নি। তব্ওু সে এখনো চেষ্টা করে চলছে কিভাবে নির্বাচন বানচাল করা যায়। ষড়যন্ত্রকারিদের মনে রাখা উচিত, কোন ষড়যন্ত্র করেই নির্বাচনকে বানচাল করা যাবে না। তিনি বলেন, অপকর্মের কারণে একে এক সব সাংবাদিক সংগঠন তাঁকে বহিস্কার করছে। প্রেস ক্লাবে তাঁকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাঁকে নেপথ্যে থেকে যারা সহযোগিতা দেবে তাদেরও ছাড় দেয়া হবেনা।
সিইউজের সাবেক সহসভাপতি এম নাসিরুল হক বলেন, যে কোন পেশাজীবী সংগঠনই অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। কিনÍু এখন কিছু চিহ্নিত ব্যক্তি সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয়কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর আদালতে নিয়ে গিয়ে পেশাজীবীদের মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করছে। সংগঠনের শৃঙ্খলার স্বার্থে এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংগঠনকে কঠোর হতে হবে।
সিইউজের সাবেক সভাপতি শহীদ উল আলম বলেন, চট্টগ্রামের মামলাবাজকে ব্যবহার করে ঢাকায় কয়েকজন সাংবাদিক নেতা বিএফইউজে নির্বাচনকে স্থগিত করে সংগঠনের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে চায়। কিন্তু তাদের সে ষড়যন্ত্র সাংবাদিক সমাজ রুখে দাঁড়িয়েছে।
সিইউজের সাবেক সহসভাপতি মোস্তাক আহমদ বলেন, প্রায় ৬০ বছর ধরে সারাদেশে সাংবাদিকদের রুটি-রুজির আন্দোলনে অগ্রণী ভ‚মিকা রেখেছে সিইউজে। কিন্তু সিইউজের এই সংগ্রামী কর্মতৎপরতাকে ব্যহত করতে একটি কুচক্রীমহল প্রায় দুই বছর ধরে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এ কুচক্রীমহলের ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

 

Related Posts