প্রতিবেদক |
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি নিয়ে কেবল মাত্র ভোট গ্রহণের অপেক্ষায় আছেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। চলতি মাসের (ডিসেম্বর) শেষ সপ্তাহে অথবা আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের এক কর্মকর্তা।
জেলা নির্বাচন অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, ভোট গ্রহণের জন্য আমাদের সকল প্রস্তুতি নেয়া আছে। স্থগিত হয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জন্য ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্র ও ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এসব ভোটকেন্দ্রের বিপরীতে নতুন করে প্রায় ১৬ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাও প্রস্তুত করা হয়েছে। শুধুমাত্র কমিশন থেকে ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করলেই আমরা তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কেন্দ্র অনুযায়ী প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেবো।
জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সবকটি কেন্দ্রে ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ করা হবে। এজন্য ১১ হাজার ইভিএম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নগরীর জিসনেসিয়াম ও আগ্রাবাদ স্কুলসহ ৪টি কেন্দ্রে ইভিএমগুলো রাখা আছে। ইভিএম গুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জেলা নির্বাচন অফিসের এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আমরা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুত করেছি। আগে (২৯ মার্চ স্থগিত হয়ে যাওয়ার আগে) আমরা যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরি করেছিলাম নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়ায় সেই তালিকার অনেকেই অন্যত্র বদলি হয়ে গেছেন, অনেকেই অবসরে চলে গেছেন। তাই আবার প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তালিকা নিয়েছি।
ভোট কেন্দ্র এবং বুথের সংখ্যা সব আগের মতোই আছে। তালিকাটা আমরা ঠিক করেছি। কমিশন থেকে তারিখ ঘোষণা করলে তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। ভোটগ্রহণের জন্য ৭৩৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৪ হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং কর্মকর্তা নেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে আরও ৫ শতাংশ বাড়তি হিসাব ধরে মোট ১৬ হাজার ১৭২ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। সুত্র আজাদী