সিনিউজ ডেস্ক
মিয়ানমার-ভারত সীমান্তে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে, যা অনুভূত হয়েছে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বাংলাদেশের বেশিরভাগ এলাকা থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ১।
এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের চিন রাজ্যের রাজধানী হাখা শহরের ১৯.৫ কিলোমিটার উত্তর-উত্তরপশ্চিমে। কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩২.৮ কিলোমিটার গভীরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৩৩৮ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে। ভারতের মিজোরামের সাইহা থেকে ওই এলাকার দূরত্ব ৬৩ কিলোমিটারের মত।
চট্টগ্রাম বিভাগের পাশাপাশি ঢাকা, বারিশাল, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগেও এ ভূকম্পন অনুভূত হয়ে ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ভোর রাতে বেশ কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্পে ঢাকার উঁচু ভবনগুলো দুলে উঠলে অনেকেই ঘুম ভেঙে আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। সেই অভিজ্ঞতার কথা অনেকে সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। কেউ কেউ ঘরের জিনিসপত্র কাঁপতে থাকার ভিডিও শেয়ার করেছেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ভুটান ও চীনের কিছু এলাকা থেকেও কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে।
ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমারের প্লেট বাউন্ডারি লাইনে একটি মাইক্রোপ্লেটের কাছাকাছি বার্মা ‘সেগিং ফল্টে’ এ ভূমিকম্প হয়েছে।
“ওই অঞ্চল বেশ ভূমিকম্পপ্রবণ। কিছুদিন আগেও এ জায়গায় ভূমিকম্প হয়েছিল। এ ফল্ট লাইনে বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা রয়েছে।”