আন্তর্জাতিক আরব আমিরাত

বাংলাদেশের দুই এয়ারপোর্টে Rtpcr ল্যাব বসাতে আমিরাত প্রবাসীদের

সনজিত কুমার শীল
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের পর দ্বিতীয় শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত। মধ্যপ্রাচ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে চট্টগ্রামের প্রবাসীরা অনেক বছর ধরে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করে যাচ্ছেন। চট্টগ্রামের পাশাপাশি সিলেট অঞ্চলের লোক জন ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে সাথে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি রত আছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত অন্যান্য কয়েকটি দেশের মত বাংলাদেশ থেকে আসার জন্য ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নেগেটিভ পিসিআর টেস্ট ও ৬ ঘণ্টার মধ্যে Rtpcr নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে আমিরাতে প্রবেশ করার সুযোগ রয়েছে। অনেকদিন ফ্লাইট বন্ধ থাকার পরে যখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসার সুযোগ করে দিল তখন থেকে ঢাকা এয়ারপোর্টে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে Rtpcr ল্যাব বসানোর জন্য দর কষাকষির পরে বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকা এয়ারপোর্টে ল্যাব বসানোর পরে আমিরাত প্রবাসীদের কত ধরনের হয়রানি হয়েছে তা প্রবাসীরা জানেন। আমিরাতে অধিকাংশ চট্টগ্রামের প্রবাসী কিন্তু দুঃখের বিষয় এত আন্দোলন, মানববন্ধন করার পরেও চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টে কোন Rtpcr মেশিন না বসায় তীব্র প্রতিবাদ জানান। চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টে Rtpcr মেশিন না বসায় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। যদি চট্টগ্রাম ও সিলেট এয়ারপোর্টে যথাসময়ে ল্যাব বসানো হতো তাহলে টিকেট রিশু অথবা তারিখ পরিবর্তনের জন্য এয়ার আরবিয়া এয়ারলাইনস এই দুর্ভাগা প্রবাসীদের কষ্টের পয়সা দিতে হতো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি প্রবাসীদের জোর দাবি অনতিবিলম্বে চট্টগ্রাম এবং সিলেট এয়ারপোর্টে rt-pcr ল্যাব বসানো হোক। বাংলাদেশে একমাত্র ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বসানোর কারণে অন্যান্য জেলা থেকে যাতায়াত করতে প্রবাসীদের অনেক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। অনেকে আবার দুদিন আগেও এয়ারপোর্ট চলে আসতে হচ্ছে। এমন কি দেখা যায় অনেকে ঢাকাতে থাকা-খাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়েছে। সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রবাসীরা জানান অনতিবিলম্বে চট্টগ্রাম এবং সিলেট এয়ারপোর্টে Rtpcr ল্যাব বসিয়ে প্রবাসীদের হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।

Related Posts