কক্সবাজার জেলার চকরিয়া পৌর সদর নিবাসী ও কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিন বিহারী চৌধুরী (৮০) গতকাল ৬ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে নেয়ার পথে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে পরলোকগমন করেছেন (ওঁ দিব্যান লোকান্ স্ গচ্চতু)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য রোগে ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ২ মেয়ে, অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। একই দিন বিকেল ৩টায় চকরিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাহাতুজ্জামানের নেতৃত্বে চকরিয়া থানা পুলিশের একটি চৌকষ দল বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত পুলিন বিহারী চৌধুরীকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। একই সাথে কক্সবাজার জেলা পুলিশের পক্ষে প্রয়াতের পুত্রের হাতে একটি শোক ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের পক্ষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাহাতুজ্জামান ও স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। এরপর চকরিয়া কলেরা হাসপাতাল সংলগ্ন মহাশ্মশানে প্রয়াতের মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সৎকার করা হয়। সংকার অনুষ্ঠানে স্থানীয় সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন। তাঁর জন্মস্থান মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি গ্রামে।
উল্লেখ্য যে, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিন বিহারী চৌধুরী ১৯৭১ সালে ১ নং সেক্টরের অধীনে বৃহত্তর চট্টগ্রামের বান্দরবানে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে স্থল, গেরিলা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সাথে সরাসরি সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার চুনতি ঢালায় সম্মুখযুদ্ধে পাকবাহিনীর ১৭ জন সদস্যকে হত্যা করে ১২ ডিসেম্বর কক্সবাজারকে শত্রæমুক্ত করে দেশের স্বাধীনতায় অবদান রাখেন প্রয়াত এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
শোক প্রকাশ ঃ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিন বিহারী চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশসহ শোকাহত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কক্সবাজার জেলা ইউনিট কমান্ড, চকরিয়া ও মহেশখালী উপজেলা কমান্ডের নেতৃবৃন্দ। ###