জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তায় ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ উদ্যোগ কার্যক্রমে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) এগিয়ে গেল আরো একটি ধাপ। নগরীর আটটি পয়েন্টে স্থাপিত বুথের মাধ্যমে চলছে সিএনজি অটোরিক্সা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। আজ ১২ ডিসেম্বর ২০২১ ইংরেজি বেলা ১২টায় নগরীর জিইসি মোড়ে স্থাপিত বুথে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন সিএমপি কমিশনার জনাব সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পিপিএম। এসময় রেজিস্ট্রেশনকৃত গাড়ির ড্রাইভার ও মালিকদের হাতে শুভেচ্ছা উপহার সামগ্রী তুলে দেন ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব শ্যামল কুমার নাথসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম নগরীর ৮টি পয়েন্টে স্থাপিত বুথের মাধ্যমে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মালিক ও ড্রাইভারের নিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে। পয়েন্টগুলো হচ্ছে-টাইগারপাস ট্রাফিক পুলিশ বক্স, নিউমার্কেট ট্রাফিক পুলিশ বক্স, বহদ্দারহাট ট্রাফিক পুলিশ বক্স, জিইসি মোড় ট্রাফিক পুলিশ বক্স, বাদামতলী ট্রাফিক পুলিশ বক্স, অলংকার ট্রাফিক পুলিশ বক্স, মইজ্যারটেক ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও সিমেন্ট ক্রসিং ট্রাফিক পুলিশ বক্স।
নিবন্ধন করার জন্য যে সকল প্রয়েজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো হচ্ছে : গাড়ির মালিকের ক্ষেত্রে-মালিকের এনআইডি, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেন ও রিট পারমিট এবং গাড়ি চালকের ক্ষেত্রে- ড্রাইভিং লাইসেন্স ও চালকের এনআইডি।
নিবন্ধনের আগে মালিক ও চালকের বৈধ কাগজপত্র যাচাই করা হবে।
নিবন্ধনের তথ্য সিএমপি সার্ভারে জমা হওয়ার পর সার্ভার থেকে অটোমেটিক মালিক এবং ড্রাইভারের জন্য আলাদা আলাদা একটি ইউনিক QR কোড এবং নিউমেরিক আইডি প্রস্তুত হবে। উক্ত আইডি ও QR কোড সম্বলিত একটি প্রিন্টেড কপি প্রতিটি গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারকে প্রদান করা হবে। উক্ত আইডি ও QR কোড সম্বলিত প্রিন্ট কপিটি গাড়িতে সবসময় এমন স্থানে ঝুলিয়ে রাখবেন যাতে যাত্রীদের দৃষ্টিগোচর হয়।
উদ্দেশ্য: ১. যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও নিরাপত্তা অনুভূতি ছড়িয়ে দেওয়া।
২.বিভিন্ন সময় সাধারণ যাত্রীরা তাদের অনেক মুল্যবান সামগ্রী সিএনজি অটোরিক্সাতে ফেলে আসেন। যাত্রীরা যদি নিউমেরিক আইডিটি অথবা QR কোড স্ক্যান করে রাখেন পরবর্তীতে সহজেই সিএনজি চালিত অটোরিক্সাটিকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
৩. সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মাধ্যমে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ সহজেই উদঘাটন ও নিয়ন্ত্রণ করা।
৪. সিএনজি মালিক তার গাড়ি যে কোন চালককে দেওয়ার আগেই সহজেই চালকের ভেরিফিকেশন কার্ড দেখে চালক সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন।
৫. একজন সিএনজি চালক ভেরিফাইড থাকলে যাত্রী এবং গাড়ির মালিকের কাছে চালক সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরী হবে। ##