আমিরাত প্রতিনিধি
সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস এবং বাংলাদেশের মহান বিজয়ের গৌরবোজ্জ্বল ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা সহ বীর মুক্তিযোদ্ধা জনতা ব্যাংক, বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ স্কুলের উপদেষ্টা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বাংলাদেশ সমিতির নেতৃবৃন্দ, ইঞ্জিনিয়ার ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধি বৃন্দ এবং বাংলাদেশী কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা সাথে পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর মান্যবর রাষ্ট্রদূত এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ হতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সাথে সাথে উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিবর্গ অতঃপর তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে পবিত্র কোরআন হতে তেলাওয়াত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ। মান্যবর রাষ্ট্রদূত মহোদয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে হাজার 971 সালের এদিনে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জনগণের জীবনমান বৃদ্ধি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বিচক্ষণ নেতৃত্তের কারণে সমগ্র বিশ্বে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত সম্মানের আসনে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ একটি দায়িত্বশীল ও প্রগতিশীল রাস্তা এবং উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশ বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির একটি এবং বর্তমান অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সালের মধ্যে এটি পৃথিবীর ২৫ তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে। মান্যবর রাষ্ট্রদূত প্রত্যাশা করেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশীগণ তাদের অর্জিত জ্ঞান অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা নিয়ে দেশের উন্নয়নে আরও ভূমিকা রাখবেন। জাতির পিতা তার দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের দিয়ে গেছেন রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তি এবং তারই ধারাবাহিকতায় তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সামগ্রিক অর্থনৈতিক মুক্তি ও সমৃদ্ধির পথে।”সবাই মিলে সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন কে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, মহান বিজয় দিবসে এটাই হোক সকলের শপথ, স্বাধীনতার চেতনায় হোক আগামীর পথ চলার প্রেরণা”। পরে জাতির পিতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ এবং বীরাঙ্গণাদের স্মরণে মোনাজাত করা হয়।