নিউজ ডেস্ক:
সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০ এর কয়েকটি ধারাকে ‘সাংঘর্ষিক’ উল্লেখ করে তা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মশিউর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি সরকার সামুদ্রিক মৎস্য আইন-১৯৮৩ বাতিল করে ২০২০ সালের নতুন আইনের গেজেট প্রকাশ করেছে। এই আইনের কঠোরতার কারণে ট্রলারে কর্মরতরা আতঙ্কিত হয়ে মাছ ধরা বন্ধ রাখে এবং শনিবার তীরে ফিরে এসেছে।
এই আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের মতামত নেওয়া হয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, “বর্তমান আইনটি ব্যবসাবান্ধব না করে বরং খড়গ চাপানো হয়েছে।”মশিউর বলেন, “এ আইনের অনেক ধারা প্রচলিত ফৌজদারি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং শাস্তির বিধানও কঠিন। লঘু অপরাধে গুরু দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।”
এছাড়াও এ আইনের মাধ্যমে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মহাসচিব মশিউর জানান, আগে যেসব আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল তা এখন বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা এবং দুই বছরের জেল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আগে বছরে ২৮০ দিনই সাগরে মাছ ধরা গেলেও বর্তমানে সরকারিভাবে ৮৫ দিন বন্ধ রাখা হয়। এছাড়াও প্রাকৃতিক বিভিন্ন দুর্যোগের কারণেও এখন বিভিন্ন সময়ে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হয় ট্রলার মালিকদের।
“বর্তমানে মাছ আহরণের মৌসুম চলছে। এসময়ে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেলে ব্যবসায়ীরা বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হবে।”সংবাদ সম্মেলনে মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন নেতা উপস্থিত ছিলেন।