আদালত প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরী ও চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ আট জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন আকলিমা আক্তার নামে এক গৃহকর্মী।
বৃহস্পতিবার এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে সাক্ষী হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন।এসময় বিচারক তার জবানবন্দি নেন।
জবানবন্দিতে সাক্ষী বলেন, “২০২০ সালের ১২ জুন বিকেলে সিরাজুল ইসলাম, তিনিসহ তিন জন করোনাভাইরাস টেস্ট করার জন্য নমুনা দেন। নমুনা দেওয়ার কিছুদিন পরে সিরাজুল ইসলামের করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। এরপর সিরাজুল ইসলামকে আরেকটা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে করোনাভাইরাসের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এদিন সাক্ষ্যগ্রহণ থাকায় সকল আসামিকেই কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। গত ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
গত ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে আটক করে পুলিশ। হিরু স্বীকারোক্তি দিয়ে জানান, তিনি ভুয়া করোনা সার্টিফিকেটের ডিজাইন তৈরি করতেন, যার সঙ্গে জেকেজি গ্রুপের লোকজন জড়িত।
ওই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জেকেজির সিইও আরিফুলসহ চারজনকে আটক করে। সিইও জানায়, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর জ্ঞাতসারেই সব কিছু হয়েছে। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে গত ১২ জুলাই দুপুরে আলোচিত এই চিকিৎসককে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।