নিজস্ব প্রতিনিধি:
নবম শ্রেণির আখি (ছদ্মনাম) নামের এক কিশোরী চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে দেওয়া ধর্ষণের শিকার জানিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। নগর পুলিশের প্রসিকিউশন শাখা ও আদালত সূত্র কিশোরী আখি আদালতে দেওয়া জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বুধবার ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারা অনুযায়ী ভুক্তভোগী কিশোরী তারমিন এ জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে আখি আরও জানান, ঘটনার দিন ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে দেখা করার কথা বলে ডেকে নিয়ে নগরীর ডিসি হিল নার্সারির বিপরীতে থাকা সিলভার সিটি রেস্টুরেন্টে তাকে ছলে বলে কৌশলে ধর্ষণ করেন প্রতিবেশী রবিউল হক রবি (২৯) নামের এক যুবক। রবিউল তাকে রেস্টুরেন্টে প্রবেশের পর থেকেই শারীরিক মিলনের চাপ দেন। একপর্যায়ে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করেন।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী আখি বর্তমানে নগরীর কোতোয়ালী থানার জামতলা বস্তি এলাকার একটি কলোনীতে থাকেন। অভিযুক্ত রবিউল একই এলাকার একই কলোনীতে থাকেন।
আদালত সূত্র জানায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরী নোয়াখালীর বাসিন্দা ও অভিযুক্ত ধর্ষক ফেনী সদর এলাকার মো. হানিফের ছেলে। রবিউলের পিতা মো. হানিফ বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য। তবে কোন অঞ্চলের বা কোন পদে রবিউলের পিতা বাংলাদেশ পুলিশে আছেন তা জানাতে পারেননি সূত্র।
এদিকে গত ৬ ডিসেম্বর ধর্ষক রবিউলকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। ভুক্তভোগীর মায়ের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায় তাকে পরবর্তীতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘নবম শ্রেণির এক কিশোরীকে ডার্ক রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে রবিউল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে সে আদালতের নির্দেশে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।