কৃষি সংবাদ

২৯ ধানের আবাদ থাকায় কাটতে কিছুটা বিলম্বিত

সিনিউজ ডেস্ক:

কৃষিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, চলতি বোরো মৌসুমে এ পর্যন্ত হাওরের ৯০ ভাগ ও সারাদেশের ২৫ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, হাওরের অবশিষ্ট ১০ ভাগ এ সপ্তাহের মধ্যে কর্তন সম্পন্ন হবে। হাওরভুক্ত এলাকাসমূহে অধিক জীবনকাল সম্পন্ন ব্রি ধান ২৯ ধানের আবাদ থাকায় কাটতে কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে হাওরসহ সারাদেশের বোরো ধান কাটার অগ্রগতি এবং করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কৃষির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে অনলাইনে মতবিনিময় কালে এ কথা বলেন।

অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আরিফুর রহমান অপু, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোল এবং কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ প্রমুখ সংযুক্ত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী জানান, হাওরভুক্ত সাত জেলায় (কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) শুধু হাওরে এ বছর বোরো আবাদের পরিমাণ ৪ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৯৯ হেক্টর জমিতে, এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত মোট কর্তন হয়েছে ৪ লক্ষ ৯৬৪ হেক্টর যা হাওরভুক্ত মোট আবাদের শতকরা ৯০.০২ ভাগ।

হাওরাঞ্চলে (হাওর ও নন হাওর মিলে) মোট বোরো আবাদের পরিমাণ ছিল ৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে, এর মধ্যে এ পর্যন্ত মোট কর্তনের পরিমাণ ৬ লক্ষ ১১ হাজার ৮১৩ হেক্টর যা হাওরের জেলাসমুহের মোট আবাদের শতকরা ৬৫.৩৪ ভাগ। অন্যদিকে, সারাদেশে আবাদের পরিমাণ ৪৭ লক্ষ ৫৪ হাজার ৪৪৭ হেক্টর। এর মধ্যে কর্তন হয়েছে ১১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৬১১ হেক্টর যা মোট আবাদের শতকরা ২৫ ভাগ।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে হাওরভুক্ত জেলাসমূহে ধান কর্তনের জন্য প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার ৫০০জন কৃষি শ্রমিক নিয়োজিত আছে। সফলভাবে নিরাপদে হাওর অঞ্চলের বোরা ধান দ্রুত কর্তনের জন্য উত্তরাঞ্চলসহ দেশের প্রায় ৪টি কৃষি অঞ্চল হতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ব্যবস্থাপনায় এবং সরকার ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় প্রায় ৩৮ হাজার জন কৃষি শ্রমিককে হাওরে প্রেরণ করা হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সবার সহযোগিতায় বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের পক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষি ও কৃষকের পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। করোনার দুর্যোগ মোকাবেলা করে দেশের খাদ্য উৎপাদনের বর্তমান ধারা শুধু অব্যাহত রাখা নয়, তা আরও বৃদ্ধি করে আমরা ২০৩০ সালের অভীষ্ট উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হব।

Related Posts