সিনিউজ ডেস্ক:
পাট ব্যবসায়ীদের বকেয়া ঋণের ওপর সুদমুক্ত সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে বাকি ৮ বছরের সুদ আসলসহ ১০ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধের সুযোগও দেওয়া হয়েছে পাট ব্যবসায়ীদের।
সোমবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধানদের এ নির্দেশনা পাঠিয়েছে।
উপসচিব কামরুল হক মারুফ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতীয় অর্থনীতিতে পাট খাতের অবদান বিবেচনায় রেখে পাট খাতের ঋণগ্রহীতাদের ঋণ হিসাবের জন্য ব্লক সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ ডাউন্ট পেমেন্ট নিশ্চিত করতে হবে।
এ সুবিধা ২০২০ সালের ৩০ জুনের পর থেকে নেওয়া ঋণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।
করোনা মহামারিতে পাটের কাঁচামাল সরবরাহ ও সব ব্যবসায়ীক লেনদেন বন্ধ থাকায় ব্যাংক ঋণ পরিশোধসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সংশ্লিস্টরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন, বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রধানদের এ-সংক্রান্ত বিষয়ে চিঠি পাঠায় অর্থ মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে বলা হয়, পাট খাতের প্রতিটি কেসের গুণাগুণ বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যাংকঋণের সুদ বা মুনাফা ও প্রয়োজনে আসল বা এর কিছু অংশ ব্লক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে হবে। যাতে সুদ না বাড়ে।
এসব ঋণ দুই বছরের সুদমুক্ত সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি ১০ বছরে ঋণ পরিশোধের সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে এসব সুবিধা নিশ্চিতের পর পুনরায় ঋণ প্রদান করতে চাইলে সে ক্ষেত্রে মটারিয়াম সুবিধা আরো এক বছর বাড়ানো যাবে বলেও বলা হয়।