নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাঁশখালী ও লোহাগাড়া এলাকা অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার ৫৯০ পিস ইয়াবাসহ মোট ছয়জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) তাদের আটকের বিষয়টি র্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
আটক ছয়জন হলো- কক্সবাজারের মহেশখালী কালারমারছড়া এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৬), চকরিয়া বিএম চর এলাকার মো. আবু তৈয়বের ছেলে মো. নুরুল মান্নান (৫৬), সিকদারপাড়ার মো. মোজাফফর আহমদের ছেলে আব্দুল আজিজ (৪২), একই এলাকার মো. রুহুল কাদেরের ছেলে মো. মিজানুর রহমান পারভেজ (৩০), টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে মো. এনাম উল্লাহ (৪১) ও সাতক্ষীরা জেলার কোমরপুর এলাকার অজেত খাঁর ছেলে মো. হাসানুর খাঁ (৩০)।
এদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম, মো. নুরুল মান্নান, আব্দুল আজিজ ও মো. মিজানুর রহমান পারভেজকে বাঁশখালী থানাধীন রামদাস মুন্সিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২২ হাজার ৫৯০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব-৭ সদস্যরা। এছাড়া ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত দুইটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
এনাম উল্লাহ ও মো. হাসানুর খাঁকে লোহাগাড়া থানাধীন চুনতি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অভিযান চালিয়ে আটক করে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে মোট ৮ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

র্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাশকুর রহমান বলেন, বাঁশখালী থানাধীন রামদাস মুন্সিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে শফিকুল ইসলাম, মো. নুরুল মান্নান, আব্দুল আজিজ ও মো. মিজানুর রহমান পারভেজকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ২২ হাজার ৫৯০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। মোটরসাইকেল করে চকরিয়া থেকে বাঁশখালী হয়ে চট্টগ্রামে ইয়াবা নিয়ে আসছিল তারা।
র্যাবের হাতে আটক চারজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর তাদের বাঁশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক জানান, লোহাগাড়া থানাধীন চুনতি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মোট ৮ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। তারা কক্সবাজার থেকে ইয়াবাগুলো নিয়ে আসছিল। আটক দুইজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।












