বোয়ালখালী প্রতিনিধিঃ
বোয়ালখালীতে লাশবাহী গাড়ি আটক করে ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার খোকার দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (১১ জানুয়ারি) চরণদ্বীপ ২নং ওয়ার্ডের নজর মোহাম্মদ বাড়ী প্রকাশ মাহবুবুল আলম চেয়ারম্যানের বাড়ীর তোফায়েল আহমেদের ছেলে মুহাম্মদ ইলিয়াস (৫০) নগরীর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে মারা যান।
পরে তাকে গ্রামের বাড়ী বোয়ালখালী চরণদ্বীপ এলাকায় নিয়ে যাওয়া সময় রাত সাড়ে ৩টায় কধুরখীল রাজবাড়ি-খোকার দোকানের মাঝামাঝি লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স আটকে আরোহীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে।
বিজ্ঞাপন
এ্যাম্বুলেন্সের আরোহী তাসনিয়া সুলতানা সুইটি জানান, রাতে আমার বাবা (মুহাম্মদ ইলিয়াস) মারা যান। তাকে একটি এ্যাম্বুলেন্স করে বাড়িতে নিয়ে আসার সময় অনেকক্ষণ ধরে এ্যাম্বুলেন্সকে পেছন থেকে ধাওয়া করে একটি সিএনজি টেম্পু।
রাজবাড়ি পর গেলে ৭জন রুমাল পরিহিত ব্যক্তি সিএনজি টেম্পু থেকে নেমে এ্যাম্বুলেন্সের দরজা ধাক্কাতে থাকে এক পর্যায়ে দরজা খুলে নগদ অর্থ সহ দু’টি স্যামস্যাং সিরিজের মোবাইল ছিনিয়ে নেয় তারা।
তিনি আরো বলেন, আমার সাথে আমার আত্মীয় ওমর ফারুক ভাই ছিল। তিনি এবং এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার অনেক নিষেধ করলেও তারা ছাড়েননি। পরে আমার ব্যাগ থেকে টাকা,মোবাইল এবং আমার ভাইয়ের টাকা মোবাইল নিয়ে পেলে ছিনতাইকারীরা। তারা প্রায় আমাদের কাছ ৩২ হাজার টাকার সম্পদ ছিনতাই করে।
এ বিষয়ে কধুরখীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিউল আজম শেফু বলেন, মোবারক ভাই আমাকে কল দিলে আমি ঘটনা তদন্ত শুরু করি। পরে জানতে পারলাম গোমদন্ডী ওদিক থেকে সিএনজি টেম্পু করে এসে খোকার দোকানে আগে অন্ধকারে এ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে ছিনতাইকারীরা ছিনতাই করে। ঘটনাটি শুনার পর থেকে গ্রাম্য পুলিশ ও মেম্বার দিয়ে ঘটনা সত্য উৎঘাটন করার চেষ্টা করছি।
এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল করিম জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।