সিনিউজ ডেস্ক:
বছর পেরিয়ে যাওয়া করোনাভাইরাসের মহামারীতে বিশ্বজুড়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পেরিয়ে গেল নয় কোটি। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের টালিতে হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬৯ জন। ওই সময় পর্যন্ত পুরো পৃথিবীতে ১৯ লাখ ৩৪ হাজার ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। আর আক্রান্তদের মধ্যে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এমন এক সময়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯ কোটির ঘর ছাড়াল যখন যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক দুটি নতুন ধরন নিয়ন্ত্রণে লড়তে হচ্ছে বিভিন্ন দেশকে। একই সঙ্গে ভাইরাসের প্রকোপ কমিয়ে আনতে বিশ্বজুড়ে চলছে বড় আকারে টিকাদানের প্রস্তুতি। খবর বিডিনিউজের।
জনস হপকিন্সের তথ্য বলছে, বিশ্বজুড়ে শনাক্ত রোগী দ্বিগুণ হতে সময় লেগেছে মাত্র ১০ সপ্তাহ। অক্টোবরের শেষ দিকে যেখানে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল সাড়ে চার কোটি, এখন তা পৌঁছেছে নয় কোটির ঘরে। আক্রান্তের সংখ্যায় সবার উপরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২ কোটি ২৩ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাতেও যুক্তরাষ্ট্র সবার চেয়ে এগিয়ে, এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। সংক্রমণের সংখ্যায় ভারত এখন বিশ্বে দ্বিতীয়, সেখানে এক কোটি সাড়ে চার লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে দেড় লাখ মানুষের।
মৃতের সংখ্যায় বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল, সেখানে ২ লাখ ৩ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এ ভাইরাস। সরকারি হিসাবে আক্রান্ত হয়েছে ৮ কোটি ১০ লাখের বেশি মানুষ। দুই মাস আগে যুক্তরাজ্য থেকে করোনাভাইরাসের যে নতুন ধরনটি ছড়াতে শুরু করেছিল, সেটি মেঙিকো, ফ্রান্স ও রাশিয়াতেও পৌঁছে গেছে। ২০১৯ সালের শেষে চীনের উহান থেকে নতুন করোনাভাইরাস পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরে তা মহামারীর রূপ পায়। ব্যাপক বিধিনিষেধের মাধ্যমে চীন সরকার গতবছর এপ্রিলের পর থেকে সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল।
১০ জানুয়ারি চীনে ৮৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে, যা গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে রয়টার্স। সংক্রমণের এই উর্ধ্বগতির মধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাস টিকাদানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। যুক্তরাজ্যে সোমবার চালু করা হচ্ছে সাতটি বড় আকারের টিকাদান কেন্দ্র। এখন সেখানে প্রতিদিন দুই লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের টিকা দেওয়া শেষ করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে হলে সপ্তাহে ২০ লাখ মানুষকে টিকা দিতে হবে।