নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম বন্দরের অডিটে দুই হাজার ৭৬৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা হিসাব মিলছে না। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে মোট আট হাজার ৭৪২টি পদের বিপরীতে বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৫৯টি।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বন্দর কর্তৃপক্ষের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরের দুই হাজার ৭৬৪ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার অডিট আপত্তির তথ্য পাওয়া গেছে।
এ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট দুই হাজার ১৬৫ অধিক অডিট আপত্তি হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত অর্থের পরিমাণ চার হাজার ৯৩২ কোটি ৮৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। আপত্তি আসা এসব অডিটের মধ্যে দুই হাজার আটটির নিষ্পত্তি হয়েছে। এতে টাকার পরিমাণ ছিল দুই হাজার ১৭১ কোটি ৫ লাখ ৩৭ হাজার। বাকি অনিষ্পন্ন ১৫৭ অডিট আপত্তির সঙ্গে জড়িত অর্থ দুই হাজার ৭৬৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে মোট আট হাজার ৭৪২টি পদের বিপরীতে ছয় হাজার ৭৮৩ জন কর্মরত আছেন। এ হিসেবে বন্দরে বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা এক হাজার ৯৫৯টি। অবশ্য এসব শূন্য পদের মধ্যে ৩৫৬টিতে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অডিট আপত্তির বিস্তারিত বিবরণ আগামী সভায় উপস্থাপন এবং শূন্যপদে জনবল নিয়োগ ও পদোন্নতির কার্যক্রম গ্রহণের জন্য কমিটি সুপারিশ করে। বৈঠকে কর্ণফুলী ও বুড়িগঙ্গা নদীর আবর্জনা ও পলিথিন অপসারণ করার জন্য জরুরিভিত্তিতে ‘গ্র্যাব ড্রেজার’ সংগ্রহ করে কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সামিল উদ্দিন আহমেদ এবং এস এম শাহজাদা অংশ নেন।