নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) নির্বাচনে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় চলছে রসে ভরা নানা শ্লোগান। ঐতিহ্যের সেই শ্লোগানগুলো নির্বাচনী প্রচারণায় রসালো হরেক-রকমের গানের সুরে দেখা যায়। মেয়র, কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডেই চলছে এসব শ্লোগান।
শ্লোগানে শ্লোগানে চায়ের দোকান, উঠান বৈঠক, স্ব স্ব দলীয় নেতাকর্মীদের মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা। সাধারণ ভোটাররা এসব শ্লোগানে মুগ্ধও হচ্ছেন, পাচ্ছেন নির্বাচনী আনন্দও।
বিভিন্ন এলাকার সূত্রে জানা গেছে, ‘রেজাউল ভাইয়ের সালাম নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন’, ‘শাহাদাত ভাইয়ের সালাম নিন, ধানের শীষে ভোট দিন’, ‘আমার-তোমার মার্কা কী, নৌকা/ধানের শীষ ছাড়া আর কি’, ‘মোড়াতে বসিয়া, ভোট দিবেন হাসিয়া’, ‘নৌকা মার্কায় দিলে ভোট, সুখে থাকবে দেশের লোক’, ‘জয় বাংলা জিতবে এবার নৌকা’।
মেয়র প্রার্থী রেজাউলের ইশতেহারে ‘রূপসী চট্টগ্রাম আমার-আপনার অহংকার, অঙ্গীকার-সবার যোগে সাজবে নগর’ এবং মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাতের ইশতেহারে ‘নিরাপদ চট্টগ্রাম, সাম্য-সম্প্রীতির চট্টগ্রাম’ এই শ্লোগানেই নিজেদের ইশতেহারও প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীরাও স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকায় রসে ভরা বিভিন্ন শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর রয়েছে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের রসময় নানা শ্লোগানে মুখরিত বন্দরনগরী। এসব শ্লোগান ছিলো কখনো ব্যঙ্গার্থক, কখনো বা রসাত্মক। প্রার্থীদের এসব শ্লোগান নিয়ে অনেক জায়গায় সৃষ্টি হয়েছিল উত্তেজনাকর পরিস্থিতিও। ঘটেছে বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনাও। তবে রসময় এসব শ্লোগান শুনে আনন্দ পেয়েছিল নগরবাসী। কিন্তু আগামীকাল থেকে প্রচারণা বন্ধ হওয়ায় শোনা যাবে না এসব শ্লোগান।
চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু বলেন, চসিক নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীদের প্রচারণায় নানাবিধ শ্লোগান ছিল লক্ষ্যণীয়। এসব শ্লোগানগুলো নানা রকমের কৌতুকপূর্ণ হলেও এতদিন আনন্দ পেয়েছে নগরবাসী। মুখরোচক এসব শ্লোগান আবার অনেক সময় মানুষকে ভোট দিতেও উৎসাহ জোগায়। এসব শ্লোগানে মানুষ বিরক্ত হয়নি।
তিনি বলেন, একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল এসব মুখরিত শ্লোগানে। নির্বাচন থেকে যদি ভালো সুফল পায়, তাহলে নগরবাসী এই শ্লোগানগুলো অনেক দিন মনে রাখবে।
সংগঠক ও সাংস্কৃতিক কর্মী মঈনুদ্দিন কাদের লাভলু বলেন, শ্লোগানের বিশেষ প্রভাব না থাকলেও দুর্ভোগ কেন্দ্রীক শ্লোগানে মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়। তাই সময়োপযোগী এসব শ্লোগান মানুষ মনে রাখে অনেকদিন।