নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান।
মঙ্গলবার দুপুরে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামে ভোটের সরঞ্জাম বিতরণের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশ্বাস দেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন এবং ৩৯টি সাধারণ ও ১৪টি সংরক্ষিত আসনের বিপরীতে ২২৫ জন প্রার্থীর মধ্যে বুধবার ভোটের লড়াই হবে বন্দর নগরীতে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে প্রায় ১০ মাস পিছিয়ে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে ইতিমধ্যে সংঘাতে প্রাণ গেছে দুজনের। কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর, প্রচারণায় হামলাসহ বেশকিছু ঘটনা ঘটেছে।
৭৩৫ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১৯টিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা, যা মোট কেন্দ্রে ৫৬ শতাংশ। এর আগে সবশেষ ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ভোটে সরকার সমর্থক মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের অনুসারীদের কে›ন্দ্র দখল ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ভোটগ্রহণ শুরুর তিন ঘণ্টার মধ্যে ব্যালট ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগ করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপিসমর্থিত মেয়র প্রার্থী মনজুর আলম।
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, “নগরবাসীকে এবং সিটির সম্মানিত ভোটারদের আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, আগামীকালকে একেবারেই তারা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন। এবং ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে তারা বাসায় ফিরে আসবে পারবে। সে ধরণের সকল ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি। আগামীকালকে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে এই সিটি নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে।”
নির্বাচন উপলক্ষে পুরো সিটিতে পুলিশের ৭ হাজার ৭৭২ জন, আনসারের প্রায় ৩ হাজার ৮০০ সদস্য, ২৫ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ৪১টি দল ছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স, রিজার্ভ ফোর্স ও মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করবে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনটি এই প্রথমবারের মত সকল কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথম দলীয়ভাবে মেয়র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিএনপির ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে হাসানুজ্জামান বলেন, অনেকগুলো নির্বাচন হয়েছে এভাবে। ঢাকায় অনেকগুলো উপ-নির্বাচন, দেশে উপজেলা ও অনেকগুলো পৌরসভা নির্বাচন হয়েছে। “সেখানে যে সিস্টেমে হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটির ভোটও সেটাকে অনুসরণ করে হচ্ছে। সাধারণ ছুটি সেখানেও ছিল না, সন্তোষজনক ভোটার উপস্থিতি ছিল। আশা করি এখানেও সন্তোষজনক ভোটার উপস্থিতি থাকবে।”
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেগুলো খোলা থাকবে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোট দেয়ার সুযোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি। নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র আছে ৪১৬টি। সেগুলোতে ১৮ জন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকবে। অন্য কেন্দ্রগুলোতে ১৬ জন করে থাকবে। আগের চেয়ে বেশি আইনশৃঙ্খলা সদস্য রেখেছি যাতে ভোটগ্রহণে কোনো সমস্যা না হয়।
ইভিএমে কোনো কারিগরি ত্রুটি দেখা গেলে কি করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অতিরিক্ত আছে, সমস্যা হলে রিপ্লেস করতে পারব। প্রতি কেন্দ্রে একটি করে ইভিএম অতিরিক্ত আছে।”