নিজস্ব প্রতিবেদক
একের পর এক ১৮ নারীকে খুন করেছেন তিনি। তিনি একজন সিরিয়াল কিলার। নিজের স্ত্রী পরকীয়া করে অন্য পুরুষের হাত ধরে চলে যাওয়ায় প্রতিশোধ হিসেবে নারীদের খুন করতেন তিনি। তা সত্ত্বেও জেলের বাইরে অবাধে ঘুরছিলেন এক সিরিয়াল কিলার। অবশেষে ভারতের হায়দরাবাদের সেই সিরিয়াল কিলারকে এবার গ্রেফতার করল পুলিশ।
মঙ্গলবার মাইনা রামুলু নামের ৪৫ বছর বয়সি ওই সিরিয়াল কিলারকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে এর আগে ২১টি মামলা ঝুলছিল, যার মধ্যে ১৬টি খুনের মামলা, ৪টি সম্পত্তি সংক্রান্ত জালিয়াতি এবং পুলিশের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার মতো মামলাও ছিল।
যে ১৬টি খুনের মামলা ছিল রামুলুর বিরুদ্ধে, তাতে নিহতেরা সকলেই নারী। সেই মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় রামুলু। তারপরেও তেলঙ্গানা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে জেলের বাইরে বেরিয়ে আসেন তিনি।
সম্প্রতি সিদ্দিপেট কমিশানেরেটের অন্তর্গত মুলুগু থানা এবং গটকেশ্বর থানায় দাখিল হওয়া ২টি খুনের মামলায় তার নাম উঠে আসে। তাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
হায়দরাবাদ সিটি পুলিশের কমিশনার অঞ্জনি কুমার জানান, ৩০ ডিসেম্বর সকাল থেকে স্ত্রী নিখোঁজ বলে গত ১ জানুয়ারি এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন। তল্লাশি চলাকালীন ৪ জানুয়ারি রেললাইনের কাছ থেকে ওই নারীর দেহ উদ্ধার হয়। তার আগে সাইবারাবাদের বলানগরেও এক নারীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা যায়, ২টি ঘটনাতেই রামুলুর যুক্ত থাকার খবর মেলে। তারপর তার তল্লাশি শুরু হয়।
অঞ্জনি কুমার আরও জানান, আদতে সাঙ্গা জেলার আরুতলা গ্রামের বাসিন্দা রামুলু ২১ বছর বয়সে বাবা-মায়ের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর কয়েক দিন পেরোতে না পেরোতেই স্ত্রী অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে যায়। সেই থেকেই নারীদের প্রতি তার মনে বিদ্বেষ জন্ম নেয়।
যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে নারীদের খুশি করার টোপ দিতেন তিনি। তারপর নেশা করিয়ে ওই নারীদের খুন করতেন। খুন করে নিহতদের টাকা, গয়না এবং মূল্যবান জিনিসও তিনি আত্মসাৎ করতেন বলে অভিযোগ। ওই ১৮ জন ছাড়াও রামুলু আর কোনো খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।