নিজস্ব প্রতিবেদক:
নগরের খুলশী থানার বাটালি হিলের ইসলাম কলোনীর ফারজানা আক্তার বুলু (২৭) আত্মহত্যা করেননি। স্বামী-সতিন মিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করেই তাকে হত্যা করেন। এক পর্যায়ে নিহতের লাশটি ওড়না প্যাঁচিয়ে রান্না ঘরের চালের সাথে ঝুলিয়ে রাখেন।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলের দিকে মহানগর হাকিম আদালতে দেয়া সতিন রিনা আক্তারের (২৩) জবানবন্দিতে এসব কথা উঠে আসে। এর আগে শনিবার খুলশী থানা পুলিশ বুলুর স্বামী শরীফ মিয়া (৩০) ও রিনা আক্তারকে গ্রেপ্তার পরবর্তী আদালতে উপস্থাপন করেন।
আদালতে থাকা নগর পুলিশের প্রসিকিউশন শাখা সূত্র বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন। সূত্রটি জানায়, স্বীকারোক্তি না দেয়ায় বুলুর স্বামী শরীফ মিয়ার আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক শরীফ মিয়ার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে বাটালি হিলের ইসলাম কলোনীর একটি ঘর থেকে ফারজানা আক্তার বুলুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, বুলু আত্মহত্যা করেছে বলে তার স্বামী ও সতিন প্রচারণা চালায়। কিন্তু প্রতিবেশিরা তা আমলে নেয়নি। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশেরও সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে তাদের দুজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সতিন রিনা আক্তার তা স্বীকারও করেন। রিনা আক্তার জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই তারা দুজন পরিকল্পনা করে শ্বাসরোধ করে বুলুকে খুন করেন।
পুলিশ জানায়, শ্বাসরোধ করে বুলুকে হত্যা করে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখার পর সতিন রিনা আক্তার ঘুমানোর চেষ্টা করেন। স্বামী শরীফ মিয়া চা খেতে বাহিরে যান। একপর্যায়ে স্বামী-সতিন দুজনই কান্নাকাটি শুরু করেন। মূলত আত্মহত্যা বলে চালাতেই তারা এসব অভিনয় করেন।
খুলশী থানার ওসি শাহীনুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় বুলুর স্বামী-সতিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পরে তাদের আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
উল্লেখ্য, ভালোবেসেই শরীফ মিয়াকে বিয়ে করেছিলেন ফারজানা আক্তার বুলু। পরে শরীফ মিয়া পছন্দ করে রিনা আক্তারকে বিয়ে করলে বিরোধের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলা এ বিরোধে খুনের ঘটনা ঘটে।