নিজস্ব প্রতিবেদক
পেশায় পোশাক শ্রমিক সাদিয়া (ছদ্মনাম)। তার স্বামী আজগরের (ছদ্মনাম) নেই কোনো আয়-রোজগার। টানাপোড়েনের সংসারে সচ্ছলতা আনতে চায়ের দোকান করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। সে লক্ষ্যে কাস্টমস এলাকায় শুক্রবার রাতে স্বামীকে নিয়ে সড়কের পাশে খালি জায়গা খুঁজতে বের হয়েছিলেন সাদিয়া। কিন্তু সংসারের সমৃদ্ধি আনতে রাতের সড়কে নামাই কাল হল তার। বখাটে তিন যুবকের হাতে ধর্ষণের শিকার হয় সাদিয়া। এ সময় তারা সাদিয়ার স্বামী আজগরকে আটকে রাখে।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বন্দর থানার কাস্টমস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার অভিযোগ পেয়ে এ ঘটনায় জড়িত তিন যুবককে রোববার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার তিন হলো- ভোলা জেলার বেলুমিয়ার চর এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে জামাল হোসেন (৩০), দৌলতপুর থানাধীন চরপাতা এলাকার আবদুল জলিলের ছেলে মো. মানিক (২৪) ও ভেদুরিয়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. মনির হোসেন (২০)।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বন্দর জোন) অলক বিশ্বাস বলেন, ওই নারী থানায় এসে অভিযোগ করেছেন স্বামীকে নিয়ে টং দোকানের খোঁজে কাস্টম এলাকায় গেলে ৩ জন মিলে তাদের দোকান দেখাতে একটা জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে স্বামীকে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করেন ওই যুবকরা। পরদিন সকালে তিনি থানায় এসে অভিযোগ দিলে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত ৩ জনের সাথে ওই নারী কিংবা তার স্বামীর পূর্ব পরিচয় ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অলক বিশ্বাস বলেন, ‘ভিকটিমের কথা অনুযায়ী তাদের মধ্যে কোন পরিচয় ছিল না। উনি যে অভিযোগ করেছেন আমরা সেটা তদন্ত করছি। আসামীদের আজকেই আদালতে সোপার্দ করা হবে।’
আসামীদের শনাক্ত করার বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘ওই নারী আমাদের বলেছেন অপরিচিত হলেও ঘটনার সময় আসামীরা একজন আরেকজনকে নাম ধরে ডাকছিলেন। উনার কাছ থেকে সেসব নাম নিয়েই আমরা অভিযান শুরু করি। দিনভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তারে সক্ষম হই আমরা।’
ওসি নিজাম উদ্দিন আরও জানান, এ ঘটনায় বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।