অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়,৬ পুলিশ সদস্য কারাগার
নিজস্ব প্রতিবেদক
আনোয়ারা উপজেলার এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের দেহরক্ষীসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের দেহরক্ষী কনস্টেবল মোরশেদ বিল্লাহ, নগর পুলিশের উপকমিশনার গোয়েন্দা (পশ্চিম) মনজুর মোরশেদের দেহরক্ষী কনস্টেবল মো. মাসুদ, নগরের দামপাড়া রিজার্ভ ফোর্স অফিসে কর্মরত কনস্টেবল শাকিল খান ও এস্কান্দর হোসেন, নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার কর্ণফুলী কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ও নগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর) কর্মরত কনস্টেবল আবদুল নবী।
গ্রেফতার হওয়া ছয় পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনার পর গতকাল রবিবার কাদের গ্রেফতার করা হলেও আজ তা প্রকাশ পায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আজ সোমবার চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বিষয়টি স্বীকার করে বলেন- আনোয়ারা থানার একটি চাঁদাবাজি মামলায় সিএমপির পুলিশের ছয় কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
আদালতে মামলা নথি থেকে জানা গেছে, গত ৩ ৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে চারটি মোটরসাইকেল যোগে ৮ জন তরুণ আনোয়ারা থানাধীন পূর্ব বৈরাগ গ্রাম থেকে আবদুল মান্নানকে তুলে নিয়ে যায়। এসময় তারা নিজেদের পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেয়। এমনকি একজনের গায়ে ডিবি লেখা জ্যাকেটও ছিল। পরে ওই তরুণরা আবদুল মান্নানকে পটিয়ার ভেল্লাপাড়া এলাকায় নিয়ে আটকে রাখে। তরুণদের দাবি, আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে থানায় অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। পরবর্তীতে তাদের ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেয়া হলে তারা তাকে ছেড়ে দেয়। তরুণদের কথপোকথনে মোর্শেদ নামে একজনের নাম জানতে পারে আবদুল মান্নান।
পুলিশ সদস্য পরিচয়ে অপহরণ এবং মুক্তিপণের অভিযোগ জানিয়ে আবদুল মান্নান গত ৭ ফেব্রুয়ারি আনোয়ারা থানায় ছয় পুলিশ সদস্যের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। এজাহারে সরকারি কর্মচারীর ছদ্মবেশ ধারণ করে অপহরণ, টাকা দাবি ও হত্যার হুমকি দিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে ৬ পুলিশ কনস্টেবলের সম্পৃক্ততা পেয়ে তাদের গ্রেফতার করেন।