চট্টগ্রাম লিড নিউজ

তবুও ভালাবাসি তোমায়

তবুও ভালাবাসি তোমায়

বিনোদন ডেস্ক
“তবু তোমাকে ভালোবেসে
মুহূর্তের মধ্যে ফিরে এসে
বুঝেছি অকূলে জেগে রয়
ঘড়ির সময়ে আর মহাকালে
যেখানেই রাখি এ হৃদয়”

সময়ের চক্রে বাধা পড়েনি জীবনানন্দের প্রেম। তাই তাঁর কাছ থেকেই আজ ধার করে নেওয়া যাক এ সংবাদের শিরোনাম। কিন্তু সবার প্রেম কি জীবনানন্দের মতো? হৃদয় তো আজ অনেকেরই ঘুরপাক খাচ্ছে জুলিয়াস সিজারের বানানো ক্যালেন্ডারে। ঘুরেফিরে মনে পড়ছে, আহা! আজই তো ১৪ই ফেব্রুয়ারি! নিন্দুকেরা যা-ই বলুক ভাই, আজ একটা ফুল কেনা চাই। ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র দরকার আছে? থাকুক বিতর্ক। সাধ করে বিতর্কে বহুদূর যেতে চায় কে? তারচেয়ে দুমুঠো অবসর পেলে থাকা যায় আরেকটু কাছাকাছি।

ভালোবাসা দিবস নিয়ে বিতর্ক বিস্তর। পশ্চিমা বিশ্বের আমদানি করা সংস্কৃতি বলে গালমন্দও কম শুনতে হয়নি একে। তবে শুরুর গল্পটা সিনেমাটিক বটে। প্রাচীন রোমে ভ্যালেন্টাইন নামে ছিলেন এক চিকিৎসক। খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে নিভৃতে ধর্মপ্রচারের কাজ করতেন তিনি। ওই সময়কার শাসক ক্লডিয়াস আবার বিষয়টি মোটেও পছন্দ করতেন না। খিস্টধর্মে বিশ্বাসীদের দেওয়া হতো কঠিন শাস্তি। যথারীতি ভ্যালেন্টাইনকে ধরে নিয়ে যায় সেনারা। কারাগারে বসেই বন্দিদের চিকিৎসা করে আসছিলেন তিনি। একদিন কারাপ্রধান তার অন্ধ মেয়েকে নিয়ে আসেন ভ্যালেন্টাইনের কাছে। ভ্যালেন্টাইন সুস্থ করে তোলেন মেয়েটিকে। প্রেমেও পড়ে যান। কিন্তু ততদিনে জনপ্রিয়তার কারণে ক্লডিয়াসের ঈর্ষার পাত্র হয়ে যান ভ্যালেন্টাইন।

ভ্যালেন্টাইন বুঝতে পেরেছিলেন, তাকে মেরে ফেলা হবে। ২৬৯ সালে (কারও মতে ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি) রোম সম্রাটের আদেশে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। মৃত্যুর আগে প্রেমিকাকে বিদায় জানিয়ে একটি চিরকুট লিখে যান। তাতে লেখা ছিল, ‘ফ্রম ইওর ভ্যালেন্টাইন’। এ কথাই হয়ে গেল কালজয়ী। কার্ডের নিচে এখনও প্রেমিক-প্রেমিকারা লিখে দেয়- ইতি তোমার ভ্যালেন্টাইন।

কিন্তু ইতিহাস যতই প্রেমময় হোক, এ দিবস নিয়ে চিন্তা-দুশ্চিন্তাও আছে ঢের। ভালোবাসা দিবসের নামে আবার কেউ বড় অংকের ব্যবসা ফেঁদে বসে নেই তো? এসব দিবস পালনের নামে আবার আমাদের সংস্কৃতি রসের অতলে হাবুডুবু খাবে না তো?

দিবস পালন নিয়ে খুব একটা সমস্যার কথা বলছেন না কেউ বটে। দিবসটাও যেহেতু ভালোবাসার, তাই তর্ক-বিতর্ক কিংবা যাবতীয় চোখ রাঙানি না হয় একদিন পকেটেই থাকুক। তবে টিকটক আর ভাইরাল ভিডিওর এ যুগে নিষ্পাপ দিবস নিয়েও যে মা-বাবাদের টেনশন কমে না, সেটা হালের তরুণ-তরুণীদের আরেকবার মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন মাহমুদা নামে খুলশীর এক অভিভাবক।

 

 

Related Posts