মো.এমরান হোসেন.ফটিকছড়ি(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধা চত্তরে যানজট নিরসন করতে মাঠে নেমেছেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.সায়েদুল আরেফিন। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই স্পটে ঘন্টাকানিক তীব্র যানজট সৃষ্টি হলে তিনি তাৎক্ষণিক তাঁর গাড়ি থেকে নেমে সকলকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন এবং সিএনজি চালকদের যত্রতত্র গাড়ি না রাখার জন্য সর্তক করেন। এ সময় ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সায়েদুল আরেফিন বলেন, যানজট নিরসনে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। মুক্তিযোদ্ধা চত্তর এলাকায় যত্রতত্র সিএনজি অটোরিকশা না রাখার জন্য সিএনজি সমিতিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে নির্দেশনা না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া সাধারন যাত্রীরা ইউএনকে ধন্যবাদ জানান।
জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সড়ক খাগড়াছড়ির রামগড় হয়ে ফটিকছড়ি-হাটহাজারী পর্যন্ত প্রশস্ত করন কাজ চলছে। অপরদিকে হেয়াঁকো-গহিরা সড়ক প্রশস্ত করন চলমান রয়েছে। গত কয়েকদিন আগে ফটিকছড়ি পৌর সদরে হাতিরপুল নামক কালভার্টটি পুঃন নির্মানের জন্য ভেঙ্গে ফেলা হয়। ফলে বিভিন্ন যানবাহান বিকল্প হিসেবে ফটিকছড়ি ডাক বাংলো সড়ক দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সড়কে মুক্তিযোদ্ধা চত্তরে ত্রি-মুখি মিলিত হচ্ছে। সেখানে সড়কটি ব্যস্থতম সড়কে পরিনত হলেও মুক্তিযোদ্ধো চত্তরস্থ অবৈধ সিএনজি স্টেশন হওয়ায় প্রতিদিন তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার যাত্রী ।
ফটিকছড়ি পৌরসভা সিএনজি চালক সমবায় সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, হেঁয়াকো সড়ক থেকে পৌর সদরে মুক্তিযোদ্ধা চত্তরে আসা বিভিন্ন যানবাহন, সিএনজিগুলো থেকে যাত্রী নামার কারনে যানজট সৃষ্টি হয়। এছাড়া যানজটরে অন্যতম কারন হিসেবে তিনি ব্যাটারি চালিত রিক্সা চালকদের দায়ী করেন।