মো.এমরান হোসেন.ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
পাশাপাশি দুটি উপজেলাকে বিভক্ত করে রেখেছে একটি খাল। নাম ধুরুং খাল। খালের উপর দুই উপজেলার মাঝখানে সেতু বন্ধন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে দীর্ঘ একটি সেতু। সেতুর পূর্বপান্তে পাহাড় ঘেরা শান্ত সুনিবিড় গ্রাম কাঞ্চননগরের মানিকপুর। উল্টো দিক পশ্চিম প্রান্তে অবস্খান পার্বত্য উপজেলা লক্ষীছড়ির বাইন্যেছোলা গ্রাম। দুই গ্রামের নামানুসারে তিন বছর পূর্বে সেনাবাহিনী লক্ষীছড়ি জোনের সার্বিক সহযোগিতায় পিছিয়ে পড়া এলাকাটিতে প্রতিষ্ঠিত হয় বাইন্যেছোলা-মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয় একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধনসহ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে এ বিদ্যালয় মাঠে ২১ফেব্রুয়ারী বসন্তের পড়ন্ত বিকেলে সুন্দর-পরিপাটি আয়োজনের মধ্যদিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিগত দুই বছরে কাঞ্চননগর ইউনিয়নে ৪০ কোটি টাকারও বেশী উন্নয়ন সাধিত হওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। আলোচনার সভা পূর্বে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে ২৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ফটিকছড়ি থেকে নির্বাচিত সাংসদ ও বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। এর আগে বিদ্যালয় আঙ্গিনায় বেশ কয়েকটি ফলজ ও ঔষুধী গাছের চারা রোপণ করেন এমপিসহ অতিথিবৃন্দ।
আড়ম্বরপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব। ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দীন চৌধুরী কাতেবের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদুল আরেফীন, ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তা, এডভোকেট সালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, সহকারী কমিশনার(ভূমি) জিসান বিন মাজেদ, ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী প্রণবেশ মহাজন, তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভাণ্ডারী।
বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক নাজমুল হুদা নিবিড়’র প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- পাইন্দং ইউপি চেয়ারম্যান একেএম সরোয়ার হোসেন স্বপন, রোসাংগিরী ইউপি চেয়ারম্যান শোয়েব আল-সালেহীন, খিরাম ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন সৌরভ, প্রবাসী ব্যবসায়ী আবুল কালাম ভূঁইয়া, উপজেলা তরিকত ফেডারেশন নেতা আলমগীর আলম, যুবলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন, মীর মোরশেদুল আলম, আক্কাস আলী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, শেখ হাসিনা মানে উন্নয়ন, উন্নয়ন মানে শেখ হাসিনা; এটা এখন মানুষ ভালভাবে বুঝে গেছে। গত দুইবছরে কাঞ্চননগরে বাস্তবায়িত চল্লিশ কোটি টাকার উন্নয়নকে মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করে সাংসদ আরো বলেন, এগুলো কাতেব চেয়ারম্যানের জন্য আমার উন্নয়ন উপহার। এদিকে আগামী ইউপি নির্বাচন শতভাগ নিরপেক্ষ হবে উল্লেখ করে মাইজভাণ্ডারী বলেন, নির্বাচনে মানুষ যাকে চাইবে সে নির্বাচিত হবে। তাই নৌকার প্রার্থী নির্ধারণে যথেষ্ট যাচাই-বাছাই করতে হবে।