ঢাকা অফিস
বাংলাদেশ রেলওয়ের জনবল সঙ্কট কাটাতে ১০ থেকে ১২ হাজার লোক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
বৃহস্পতিবার রেলভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বর্তমানে ১৩৭টি স্টেশন বন্ধ রয়েছে লোকবলের অভাবে। আমরা প্রথম ধাপে ১০ থেকে ১২ হাজার লোকবল একসঙ্গে নিয়োগ দেব রেলে, সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।”
সেই নিয়োগের জন্য এ মাসেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হতে পারে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “নিয়োগ দেওয়ার পর তাদের প্রশিক্ষণ দেব। আমরা আশা করছি, আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে রেলের জনবল ঘাটতির অভিযোগ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারব।”
রেলের অবকাঠামোতেও ঘাটতি আছে জানিয়ে সুজন বলেন, সব ডাবল লাইন না হওয়া পর্যন্ত রেলের নিরাপত্তা ঝুঁকি থেকেই যাবে।
“ট্র্যাকগুলোর আরো আধুনিকায়ন হচ্ছে। আমরা রেলের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। অজুহাত নয়, দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।”
এ অনুষ্ঠানে রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ বা সংস্কারসহ ওয়াশ (ডব্লউএএসএইচ) ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং পারস্পরিক শিখন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “স্টেশনগুলোতে পরিবেশ বান্ধব ওয়াশ পরিষেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ইতোমধ্যে রেলওয়ে এবং ওয়াটারএইডের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। কমলাপুর স্টেশনে দুটি প্রকল্প নিয়েছি, সেখানে থেকে ধীরে ধীরে তা অন্য স্টেশনগুলোতেও নিয়ে যাওয়া হবে।”
ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, রেলওয়ের সহায়তায় উপযুক্ত স্থানে অন্তত তিনটি স্টেশনে ক্রমান্বয়ে তিনটি মানসম্পন্ন পাবলিক টয়লেট সংস্কার ও নির্মাণ করা হবে।
“এ তিনটি পাবলিক টয়লেট পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের মধ্য দিয়ে একটি টেকসই ব্যবস্থাপনার মডেল তৈরি হবে, পাবলিক টয়লেটগুলো থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।”
রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা এবং রেলওয়ে মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।