আনোয়ারা প্রতিনিধি
আনোয়ারা উপজেলায় কিশোর গ্যাং নতুন আতংক হিসেবে দেখা দিয়েছে। কয়েকদিন আগে এইসব কিশোর গ্যাংয়ের একটি অংশের কাছে নিঃসংশ ভাবে খুন হয়েছে আশরাফ নামের এক কিশোর। নিহত আশরাফ ছাত্রলীগ কর্মী। আর যার হাতে খুন হয়েছে সে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের নেতা। পুলিশ বলছে এই খুনের সাথে যারা জড়িত তারা সবাই কিশোর। এখানে অনেক কিশোর গ্যাং রয়েছে বলে জানা যায়। এইসব গ্যাং এর হাতে রয়েছে চাপাতি,রামদা,ছুরি,হকিস্টিক ও বিভিন্ন রকমের অস্ত্র।
এসব কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের বয়স ২০ থেকে ২২ এর মধ্যেই।এসব গ্যাং এর সদস্যরা মাদক,ইয়াবা,ধর্ষন, জমিদখল,চাঁদাবাজি ও যৌনহয়রানিসহ ভয়ংকর সব অপরাধের সংগে জড়িয়ে পড়ছে।
একসময় নগর কেন্দ্রীক এ সমস্যা থাকলেও এখন তা কম বেশী সকল উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। তারা তুচ্ছ বিরোধকে কেন্দ্র করে বড় বড় ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে। তাদের উপর কতিপয় বড় ভাইদের আশিরবাদ থাকাতে তারা হয়ে উঠছে ভয়ংকর অপরাধী। পাড়া মহল্লায় নারীদের উত্ত্যক্ত, কটুক্তি, অশ্লীল অংগভংগী প্রদর্শনসহ এরা নানা অপরাধের সাথে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। ঝুকিপূর্ণ মোটরসাইকেল চালানো তাদের ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। যারফলে ঘটছে নানা রকম দূর্ঘটনা।
এসব বেপরোয়া গ্যাং কালচার অবিলম্বে রুখে দেওয়ার দাবি উঠছে সচেতন মহল থেকে। ব্যাবসায়ীরা দাবী করছেন এসব কিশোর গ্যাংদের দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এসব কিশোররাই আগামীতে হয়ে উঠবে ভয়ংকর সন্ত্রাসী। কিশোর গ্যাংদের বিরুদ্ধে অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও তারা তাদের কর্মকান্ড সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার জানান,কিশোর গ্যাং তৎপরতা বন্ধের সর্বাত্মক চেষ্টায় আছে পুলিশ। তবে আনোয়ারায় এখনো এই বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। কয়েকদিন আগে জয়কালী বাজারে যে খুন হয়েছে সেটা কিশোর গ্যাং এর অভ্যান্তরীন কোন্দল। আমরা এই বিষয়ে খুব সচেতন আছি। শীগ্রই এসব কিশোর গ্যাংদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলবে।তিনি আরো বলেন, কিশোররা যাতে অপরাধে জড়াতে না পারে সেজন্য অভিভাবকদেরই বেশি সচেতন হতে হবে।আইন প্রয়োগ সংস্থার অভিযানের পাশাপাশি শিক্ষক অভিভাবকসহ সবাই সোচ্চার হলে এসব কিশোররা কোনদিন বিপথগামী হতে পারবেনা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় অভিভাবক কান্ছন সুশীল বলেন, কেউ পৃথিবীতে অপরাধী হয়ে জন্মগ্রহণ করেনা, আমরা অভিভাবক হিসাবে এসব কিশোরদেরকে সুপথে চলার জন্য পথ তৈরি করে দিতে হবে।পাশাপাশি তারা কখন কোথায় কার সাথে মিশছে সবকিছু নজরে রাখতে হবে। অভিভাবক হিসেবে আমাদের দায়িত্বও কম নই।