কতৃপক্ষের উদাসীনতায় আনোয়ারার পারকি সৈকতের পরিবেশ বিপর্যয়
রুপন দত্ত – আনোয়ারা প্রতিনিধি
কারো কাছে মিনি কক্সবাজার, আবার কারো কাছে প্রকৃতির রুপসী কন্যা নামে খ্যাত চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পারকী সমুদ্র সৈকত। ভ্রমন পিপাসুদের কাছে এটি ঝাউ বাগান নামেও পরিচিত। যারা সময় এবং অর্থের সংকটের কারনে কক্সবাজারে যেতে পারেনা তারাই এই পারকী সৈকতে ভ্রমন করে। বন্ধের দিন ও বিভিন্ন উৎসবের দিনে প্রচুর পর্যটক আসেন এখানে। কিন্তু দিনদিন এই পর্যটন এলাকাটি তার গুরুত্ব হারাতে বসেছে। পারকী হারাচ্ছে তার চিরচেনা রুপ। পারকী সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, যে ঝাউ গাছ গুলোকে ঘিরে এই সমুদ্র সৈকত গড়ে উঠেছে সেই ঝাউ গাছ গুলোই আজ হারিয়ে যাচ্ছে। তাদের অস্তিত্ব আজ বিলিনের পথে। অধিকাংশ ঝাউ গাছ এর শিকর থেকে মাটি সরে গিয়ে হেলে পড়েছে। একসময় এই সৈকতে বালিতে হাটা দুষ্কর ছিল এখন এই সৈকতে কাঁদা মাটিতে হাটায় যায় না।বীচে মাটি ছাড়া বালি আর চোখে পড়েনা।
পর্যটকদের জন্য নেই কোন সরকারি নির্দেশনা ও পর্যাপ্ত কোন ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি আবু ইউসুফ বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে উঠা পর্যটন গুলো আমাদের অমূল্য সম্পদ। সর্ব্বোচ্চ সচেতন হয়ে আমাদের এগুলোকে ব্যবহার করতে হবে।কোনভাবেই এর পরিবেশ নষ্ট করা যাবেনা। শুধু কতৃপক্ষ নই, এই ব্যাপারে পর্যটকদেরও যথেষ্ট সচেতন হতে হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ গুরুত্বপূর্ণ এই পর্যটন এলাকাটি সুরক্ষার দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হলেও তারা তেমন কোনো উদ্যেগ নিচ্ছেন না।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব শেখ জোবায়ের আহম্মেদ বলেন, আমরা পর্যটন এলাকার পরিবেশ ঠিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। পারকির পরিবেশ ও উন্নয়নের জন্য বিচ কমিটি ও সহযোগী বিভাগ গুলো কাজ করে থাকে।এই জন্য আমরা কিছু মেঘা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। পারকীর পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসন কঠোর ভূমিকা পালন করেন বলে তিনি স্বীকার করেন।
এই ব্যাপারে বিচ কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জনাব কাইয়ুম শাহ বলেন, পারকি বিচ নিয়ে অনেক মেঘা পরিকল্পনা আছে। যা বাস্তবায়নের পথে। আগের চেয়ে অনেক ভাল পরিবেশ বিরাজমান আছে।