নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে কিশোরীকে মারধরের ঘটনায় আটক ‘লেডি কিশোর গ্যাং লিডার’ তাহমিনা সিমি ওরফে সিমরানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলাটি দায়ের করেন মরধরের শিকার ওয়াসিকা (২১)। মামলায় সিমিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘কিশোরীকে মারধরের ঘটনায় সিমির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় সিমির সহযোগী মেহেরুলকে (২১) আসামি করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
এর আগে গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এক মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, সৈকতের কাছেই দাঁড়িয়ে ও বসে কথা বলছেন দুই কিশোরী ও এক কিশোর। দাঁড়িয়ে থাকা কিশোরী চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় তার ছেলে বন্ধুকে উদ্দেশ করে বলছেন, ‘ওই দিন আমাকে মারার জন্য ছুরি নিয়েছে বেটা।’ উত্তরে বসে থাকা কিশোরী নিজের গাল এগিয়ে দিয়ে বলেন, ‘তুমি আমারে মারো, মারো মারো ..। মারতে বললাম মারো না।’
এ সময় পেছনে এসে এক কিশোরকে (ছেলে বন্ধু) বসে থাকা কিশোরীর মাথায় আঘাত করে বলতে শোনা যায় ‘মারলে এভাবেও তো মারা যায়’।আঘাত পেয়ে নির্যাতিতা কিশোরী বলেন, ‘ভাইয়া প্লিজ..’। কিন্তু ওই কিশোর তার কথা না শুনেই ‘ওকে মারবা কেন’ বলে কিশোরীর মাথায় ও মুখে আঘাত করতে থাকে এবং বলতে থাকে ‘আমাকে চেন তুমি’।
একপর্যায়ে দাঁড়িয়ে থাকা কিশোরীকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি চাইলে তুমি এখান থেকে জিন্দা যাইতে পারবা না। তুমি ওই দিন কোন সাহসে ছুড়ি নিছ। আমি চাইলে তুমি যেতে পারবা না।’ এসময় নির্যাতিতা কিশোরী তার হাত ধরে অনুনয়-বিনয় করলেও মন গলেনি তার। উত্তরে মারধরকারী কিশোরীকে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি জানো, আমি বললে এখানে তোমার লাশ ফেলে দেবে।’
জানা গেছে, পতেঙ্গা এলাকার বাসিন্দা তাহমিনা আক্তার সিমি ছোটকাল থেকেই ডানপিটে স্বভাবের ছিলো। ছয় বছর আগে তার বাবা মারা যান। এর পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠে সিমি। এর মধ্যে গত বছরের ২৪ আগস্ট বাসায় ঢুকে এক তরুণীকে বেধড়ক মারধরের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর আলোচনায় আসেন এই তরুণী। ওই ঘটনার দায়ের করা মামলার জেরে সেসময় আটক হয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন এই লেডি কিশোর গ্যাং লিডার।