নিজস্ব প্রতিবেদক
টানা তিন দিন হাসপাতালের বিছানায় অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন ফাতেমা বেগম (২৩)। এ যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ফাতেমা।
শনিবার (১৩ মার্চ) রাতে ফটিকছড়িতে স্বামীর দেওয়া আগুনে ঝলসে যায় ফাতেমা বেগমের শরীর। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত ফাতেমার দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার (১৩ মার্চ) রাতে ফটিকছড়ির ভুজপুর থানাধীন ১ নম্বর বাগানবাজার ইউনিয়ন এলাকায় স্ত্রী ফাতেমার সাথে কথা কাটাকাটি হয় ইমাম হোসেনের।
পরে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এক পর্যায়ে স্বামী ইমাম স্ত্রী ফাতেমার শরীরে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আগুনে ফাতেমার প্রায় ৭৫ শতাংশ শরীর ঝলসে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।
তবে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। পরে সেখানেই ফাতেমাকে ভর্তি করানো হয়।
এদিকে এ ঘটনায় পরের দিন রোববার (১৪ মার্চ) ফাতেমার বাবা আব্দুল গফুর বাদী হয়ে ভুজপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওদিন রাতেই পুলিশ অভিযানে চালিয়ে অভিযুক্ত ইমাম হোসেন ও তার পিতা আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে।
ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতরা করেছি। তারা দুইজনই এখন কারাগারে রয়েছেন।