ঢাকা অফিস
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পরবর্তী চালান আগামী ২৬ মার্চ বা তার পর আসতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান।
রোববার তেজগাঁওয়ে সিএমএসডির নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “২৬ মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে আসবেন, আমার মনে হয় উনার সফরের সাথে বা উনার সফরের পরপরই আমরা সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে মার্চ মাসের যে চালান সেটি পাব। এ ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী।
“এমনও হতে পারে যে মার্চেরটা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে।আমাদের কাছে যতটুকু সংবাদ।”
সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গতবছর নভেম্বরে যে চুক্তি হয়েছিল, তার মধ্যে দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে।
আরও ৩ কোটি ডোজ টিকা আনা হবে: প্রধানমন্ত্রী
কোভিড-১৯: সরকারের কেনা টিকার প্রথম চালানে এল ৫০ লাখ ডোজ
তার আগে ভারত সরকার উপহার হিসেবে যে ২০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছিল, সেটাও সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, যা তারা বাজারজাত করছে কোভিশিল্ড নামে।
টিকার প্রথম চালান হাতে পাওয়ার পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে গণ টিকাদান শুরু হয়। এ পর্যন্ত ৪৭ লাখ ৬০ হাজার মানুষ এ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশের কম।
নভেম্বরের চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু বিপুল চাহিদা আর বিশ্বজুড়ে টিকার সরবরাহ সঙ্কটের মধ্যে ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ পেয়েছে।
দ্বিতীয় চালানে এল ২০ লাখ ডোজ টিকা
বিশ্বে টিকা উৎপাদনকারী সবচেয়ে বড় কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়া এখন প্রতিদিন গড়ে ২৪ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদন করছে।
কিন্তু তাদের প্রথমেই নজর দিতে হচ্ছে ভারতের নিজস্ব চাহিদার দিকে। এর বাইরে বাংলাদেশ ছাড়াও ব্রাজিল, মরক্কো ও দক্ষিণ আফ্রিকায় তারা টিকা সরবরাহ করছে।
তাছাড়া কাঁচামাল সরবরাহ সঙ্কটে উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটছে বলেও সম্প্রতি সেরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে