সিনিউজ ডেস্ক
হেফাজতের সঙ্গে সরকারের কোনো যুদ্ধ নেই বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
তিনি বলেছেন, আমরা সরকারের পতন চাই না। তাদের কোনো অনুদান ও আমরা গ্রহণ করি না। সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। সরকার প্রয়োজনে ২০০ বছর রাজত্ব করুক কোনো সমস্যা নেই। তবে ইসলাম ও কওমি অঙ্গনের বিরুদ্ধে কোনো হঠকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তা কখনো আমরা মেনে নেব না।
রোববার (১১ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের এক জরুরি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জুনায়েদ বাবুনগরী এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে কওমিদের সঙ্গে সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তবে আমাদের দাবিগুলো সরকার যদি মেনে না নেয় আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
এ সময় মামুনুল হকের অব্যাহতির বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাবুনগরী বলেন, আজকের বৈঠকে কাউকে বহিষ্কার বা অব্যাহতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে আজকের সভায় কোনো আলোচনা হয়নি।
বৈঠক থেকে হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক-তৌহিদী জনতার উপর পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবি করা হয়েছে। এছাড়া আগামী ২৯ মে হাটহাজারী মাদ্রাসায় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা ইয়াহইয়া, মাওলানা ওমর মেখলি, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, অর্থ সম্পাদক মুনির কাসেমী, হাটহাজারী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা শোআইব জমিরী, সহকারী সম্পাদক মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, যুগ্ন মহাসচিব নাসির উদ্দিন মুনির, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরিস, প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়জী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, সহ প্রচার ওলানা ফয়সাল আহমদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ড. নুরুল আবসার আজহারী, সহকারী দাওয়াত বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ইলিয়াস হামিদী এবং সহ অর্থ সম্পাদক আহসান উল্লাহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ থেকে ২৯ মার্চ চট্টগ্রামের হাটহাজারী, পটিয়া, ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেটসহ দেশের কয়েকটি স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা হয়।
৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় একটি রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে এক নারীসহ ঘেরাও করে স্থানীয় লোকজন। তখন মামুনুল দাবি করেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
মামুনুল ইস্যুতে অনেক হেফাজত নেতা বিব্রত বলে জানালেও কেন্দ্রীয়ভাবে তার ব্যাপারে কোনো অবস্থান জানায়নি আলোচিত সংগঠনটি।