নিজস্ব প্রতিবদেক
নেই কোন আয়োজন,নেই মঙ্গল শোভাযাত্রা। সুনশান নিরবতা ডিসি হিল,শিরিশতলা। করোনার সংক্রমণ শুরুর পর গতবছরের মতো এবারও বাতিল হলো সমস্ত প্রোগ্রাম।
লকডাউনের কারণে এমএম আলী সড়কের জেলা শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি স্কুল মাঠ, জামালখানের ডা. খাস্তগীর স্কুল মাঠ, জেএম সেন হল, থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি), পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত কোথাও নেই নববর্ষের আয়োজন।
চৈত্রের শেষদিন বর্ষবিদায় ও পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ উপলক্ষে জনসমুদ্রে পরিণত হতো ডিসি হিল ও সিআরবি। সড়কে চলতো বৈশাখী মেলার জন্য জায়গা দখলের প্রতিযোগিতা, কিংবা তারুণ্যের হাতে আঁকা আল্পনাও।
নৈসর্গিক সৌন্দর্যে অপরূপ সিআরবির শিরীষতলায় লালদীঘির জব্বারের বলীখেলার মতো সাহাবউদ্দিনের বলীখেলাও দেখছেন না চট্টগ্রামবাসী। নেই হালখাতা খোলা, আপ্যায়ন ও পান্তা-ইলিশ খাওয়ার আয়োজন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে পহেলা বৈশাখে বের করা হয়নি মঙ্গল শোভাযাত্রা। তবে চট্টগ্রামে বোধন, প্রমা, তারুণ্যের উচ্ছ্বাসসহ বেশ কিছু সংগঠন ডিজিটালি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ অনলাইনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করছে।
নববর্ষ উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ শওকত ইকবাল চৌধুরী বলেন, করোনা কেড়ে নিয়েছে বর্ষবরণের সব আয়োজন। এই দিনটাতে মানুষের সমাগমে মুখরিত থাকতো ডিসি হিল-সিআরবি সহ পুরো নগর। মানুষের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বিবেচনায় আমরা এবছর সরকারি নির্দেশনা মেনে সব আয়োজন থেকে সরে এসেছি।