নিজস্ব প্রতিবেদক
উখিয়া কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর নুর ইসলাম নামে এক রোহিঙ্গা যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার বিকেলে উখিয়া কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা শিবিরের টু-ইস্ট জি ব্লকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে এপিবিএনের পুলিশ সদস্যরা।
নিহতরা হলেন- উখিয়া কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা শিবিরের টু-ইস্ট জি ব্লকের বাসিন্দা আলী হোসেনের ছেল নুর ইসলাম তার স্ত্রী মরিয়াম খাতুন ও শ্যালিকা হালিমা খাতুন।
এপিবিএন বলছে, প্রাথমিকভাবে ধরাণা করা হচ্ছে পরিবারিক কলহের জের ধরে প্রথমে নুর ইসলাম তার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় বোনকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে শ্যালিকাকে কুপিয়ে হত্যার করা হয়। এতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আত্মহত্যা করে নুর ইসলাম। তবে তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত দেখা গেছে। তিনি একজন মাদকসেবী ছিলেন বলে নিশ্চত হওয়া গেছে।
বিষয়টি স্বীকার করে কক্সবাজার ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক নিপুন জানান, ‘স্বামী, স্ত্রী ও শ্যালিকাসহ তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে কুপিয়ে হত্যা করে ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ সঞ্জুর মোর্শেদ জানান, তিনি ঘটনাস্থলে রয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের কারণ বের করতে পুলিশ কাজ করছে।