পশ্চিমবঙ্গ থেকে রতন কান্তি দেবাশীষঃ
একটি করে দিন যাচ্ছে, আর ভারতে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার। প্রতিটি রাজ্যে বেড়ে চলেছে রোগী, হচ্ছে মৃত্যু। লন্ডভন্ড অবস্থায় মহারাষ্ট্র। রাজ্যের দুটি হাসপাতালে পরপর দুটি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর শিকার হয়েছে ৩৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৩০০ জনের। আর সারা দেশে সংক্রমিত ৩ লাখ ৩২ হাজার মানুষ। যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় ১৭ হাজার বেশি।
আজ শুক্রবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দেয়। এনডিটিভি পরে তাদের প্রতিবেদনে জানায়, দেশে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯২০ জনে।
খবরে আরও বলা হয়েছে, দেশে দেশটিতে ট্রিপল মিউট্যান্ট বা তিনবার রূপ পরিবর্তনকারী তিনগুণ বেশি শক্তিশালী নতুন করোনার সন্ধান মিলেছে। যা টিকা নিলেও প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এদিকে, প্রচুর আক্রান্তের কারণে ভেঙে পড়েছে কয়েকটি রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা। রাজধানী নয়াদিল্লিসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের হাসপাতালে একেবারেই অক্সিজেন নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
খোদ স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, যে পরিমাণ অক্সিজেন দরকার তার কিছুই নেই তাদের কাছে। চরম সংকটের কারণে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। দুই হাজারের বেশি মানুষ প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন।
দিল্লি ছাড়াও, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের অবস্থা সব থেকে খারাপ। অনেক স্থানে লকডাউন বা বিধিনিষেধ চলছে। তবুও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এদিকে, যে ট্রিপল মিউট্যান্ট কোভিড’র কথা বলা হচ্ছে; তা টিকা থেকে দেহে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তাকে সহজে ফাঁকি দিয়ে কোষে প্রবেশ করতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যে কারণে করোনা প্রতিরোধে বিদ্যমান টিকাগুলো কতটা কার্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
করোনা প্রকোপের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে ভারত। একদিনে সাড়ে তিন লাখের মতো মানুষ কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়া বিশ্বে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।