আন্তর্জাতিক ওপার বাংলা

সীমান্ত বন্ধঃ বেনাপোল গিয়ে বিপাকে বাংলাদেশীরা

 

সিনিউজ ডেস্ক

ভারত জুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ব্যাপকভাবে আঘাত হানার কারণে সোমবার থেকে আগামী ১৪ দিনের জন্য দেশটির সাথে স্থলবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আর এতেই চরম বিপাকে পড়েছেন ভারত থেকে দেশে ফিরতে যাওয়া বাংলাদেশি নাগরিকরা।

এর ফলে বৈধ ভিসা নিয়ে নতুন করে কোন যাত্রীই দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারবেন না। পাশাপাশি যে সকল বাংলাদেশী নাগরিক বিভিন্ন কারণে ভারতে এসেছিলেন, তারাও চাইলেই দেশে ফিরতে পারবেন না।

একমাত্র ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই-কমিশন থেকে ‘নো অবজেকশন’ (এনওসি) নিয়েই তবেই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন।

আর এতেই সমস্যায় পড়েছেন সীমান্ত পারাপারকারী সাধারণ মানুষ। আজ সকালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তের ভারতীয় দিকে দেখা যায় বহু বাংলাদেশি মানুষ, যারা বিভিন্ন কারণে ভারতে এসেছিলেন তারা নিজের দেশে ফিরে যাবার জন্য অপেক্ষা করছেন। সরকারের নির্দেশিকা জানা না থাকায় কারও কাছেই ‘নো-অবজেকশন’ সনদও ছিল না। তাদের অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের এই হঠাৎ নির্দেশিকায় তারা বিপাকে পড়েছেন। তাদের বক্তব্য এই নির্দেশিকা জারির আগে অন্তত দুই দিন সময় দেওয়া উচিত ছিল।

মো. হাবিবুর রহমান নামের এক ভুক্তোভোগী সিনিউজ কে বলেন , ‘রবিবার বিকেল পাঁচটার সময় আমরা খবর পেলাম যে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তো জানে যে মেডিকেল ভিসা নিয়ে প্রচুর বাংলাদেশি রোগী ভারতে অবস্থান করছে।

সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে দুই তিন দিন সময় দেয়া উচিৎ ছিল কিংবা এক সপ্তাহ আগে বিদেশে থাকা নাগরিকদের এব্যাপারে অবগত করা উচিত উচিত ছিল। এই অবস্থায় আমরা এখানে থাকবো না কি বাংলাদেশে যাবো বুঝতে পারছিনা। ’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক বাংলাদেশী নারী জানান ‘আমাদের আগাম কোন নির্দেশিকা না দিয়ে হঠাৎ করে সীমান্ত বন্ধ হয়ে গেল। এক্ষেত্রে অন্তত একদিন সময় দেয়া উচিত ছিল। এখন ইন্টারনেটের যুগ সেক্ষেত্রে আমাদের আগে জানানো উচিত ছিল কিন্তু আমরা সকালে এখানে সীমান্তে এসে জানতে পারলাম যে সীমান্ত বন্ধ।

তবে কেবলমাত্র বাংলাদেশিই নয়, ভারত থেকে বাংলাদেশে যাওয়া বহু মানুষও আটকে আছেন সীমান্তের ওপারে বেনাপোলে। বাংলাদেশ পোর্ট অথরিটি’র তরফেও তাদেরকে বেনাপোল গেটের কাছে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে দেশে ফেরার অপেক্ষায় ভারতীয়রাও।

এ ব্যাপারে হরিদাসপুর জোনের মুখ্য অভিবাসন কর্মকর্তা তরুণ বিশ্বাস বলেন, ‘ব্যবসায়িক ভিসা এবং ওয়ার্কিং ভিসা নিয়ে বহু ভারতীয় বাংলাদেশ আটকে রয়েছে, তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার কোনো রকম নির্দেশিকা এখনো পর্যন্ত নেই। কোন নাগরিককেই পারাপার করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেবলমাত্র নো অবজেকশন সার্টিফিকেট ধারী ব্যক্তিদেরই সীমান্ত পারাপার করতে দেয়া হচ্ছে। ’

 

সিনিউজ২৪বিডি.কম

Related Posts