আন্তর্জাতিক ওপার বাংলা

পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফলের পর আনন্দ মিছিল নিষিদ্ধ

 

 

কলকাতা প্রতিনিধি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের বাকি আছে আর এক ধাপ। আগামী ২৯ এপ্রিল অষ্টম ধাপের ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে মাসব্যাপী ভোট উৎসবের। নানা নাটকীয়তায় মধ্য দিয়ে সোমবার রাত থেকে শেষ হয়েছে প্রচারপর্বও।

আগামী ২ মে একযোগে ফল ঘোষণা করা হবে। তবে কোনো বিজয়ী প্রার্থী বা দল এ উপলক্ষে আনন্দমিছিল বের করতে পারবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, একই দিন তামিলনাড়ূ, আসাম, কেরালা ও পদুচেরির বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে। ওই সব রাজ্যেও কেউ বিজয় মিছিল করতে পারবে না।

নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, গণনাকেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণার পর রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে প্রশংসাপত্র নেওয়ার সময় বিজয়ী প্রার্থী বা তার মনোনীত কারও সঙ্গে সর্বাধিক দু’জন থাকতে পারবেন। তার চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে গণনাকেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না।

গত সোমবার করোনার ঊর্ধ্বগতির মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করে নেতাদের বড় বড় সমাবেশ করতে দেওয়া নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্ট ভর্ৎসনা করার পর মঙ্গলবার এ নিষেধাজ্ঞা জারি করল কমিশন। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেন মাদ্রাজ হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গত কয়েক মাস ধরে করোনা প্রটোকল উপেক্ষা করে চলা প্রচার বন্ধ না করে কমিশন সবচেয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রতিষ্ঠানের মতো কাজ করেছে। এ জন্য কমিশনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা উচিত।

নির্বাচন কমিশনকে তুলাধুনা করে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, করোনাবিধি মেনে চলার জন্য আদালতের নির্দেশ থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলো যখন তা না মেনেই প্রচার চালিয়েছে, তখন আপনারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব জনস্বাস্থ্যে। সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষকে এভাবে সেটা মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে- এটা খুবই হতাশাজনক।

প্রয়োজনে ভোটগণনা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আদালত বলেন, এখন আপনাদের আমরা আশ্বস্ত করে বলছি, কীভাবে করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে, তা নিশ্চিত করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা আদালতকে না জানাতে পারলে আগামী ২ মে পাঁচ রাজ্যেই বিধানসভার ভোট গণনা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

এদিকে করোনার মধ্যে নির্বাচন করায় স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়ে হাইকোর্টের সব জনস্বাস্থ্য মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের কোনো হস্তক্ষেপ নেই বলে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে।

Related Posts