নিজস্ব প্রতিবেদক
হাটহাজারীতে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার মামলায় মুফতি হারুন ইজহারকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছে র্যাব। ওই ঘটনায় তাকে অন্যতম মদদদাতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মুফতি হারুন ইজহার সদ্য বিলুপ্ত হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত ২৬ মার্চ হাটহাজারীতে থানায় আক্রমণ ও ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ঘটনায় অন্যতম মদদদাতা মুফতি হারুন ইজহার।’
র্যাবের পক্ষে রিমান্ড আবেদন করা হবে কিনা জানতে চাইলে র্যাব-৭ এর প্রধান বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টা যেকোনো আসামিকে আমাদের হেফাজতে রাখতে পারবো। ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগে আমরা তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবো। মামলা যেহেতু পুলিশ তদন্ত করছে, আমাদের রিমান্ড আবেদন প্রয়োজন নেই।
উল্লেখ, ২৮ এপ্রিল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নগরের লালখানবাজার জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে মুফতি হারুন ইজহারকে আটক করা হয়। মুফতি হারুন ইজহার ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলামের ছেলে।
গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে হেফাজতের কর্মীরা চট্টগ্রামের হাটহাজারী, কক্সবাজারের মহেশখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং রাজধানী ঢাকায় জ্বালাও পোড়াওসহ তাণ্ডব চালায়। এ ঘটনায় হাটহাজারী থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। ইতিমধ্য হেফাজতের অনেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেফতার হয়েছেন।
হারুন ইজহার বিভিন্ন মামলা ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর লালখানবাজার মাদ্রাসায় হ্যান্ডগ্রেনেড বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে তিনজন মারা যান। পরে পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালিয়ে চারটি তাজা গ্রেনেড, ১৮ বোতলে ৫০০ গ্রাম করে নয় হাজার গ্রাম অ্যাসিড এবং গ্রেনেড তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করেছিল। ওই ঘটনায় তার পিতা ইজহারুল ইসলাম ও তার বিরুদ্ধে মামলা বিচারাধীন।