সনজিত কুমার শীল।।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য শিডিউল ফ্ল্যাইট হঠাৎ করে গত ২৭ শে এপ্রিল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে বিগত বাংলাদেশে ১৪ ই এপ্রিল ২০শে এপ্রিল লকডাউন থাকায় অনেক প্রবাসী দেশে যেতে পারে নাই। এদের মধ্যে অনেকে তিন থেকে চার বছর পর্যন্ত দেশে যেতে পারে নাই এমন ও রয়েছেন। আবার ২২ শে এপ্রিল আবুধাবি থেকে এয়ার আরবিয়া চট্টগ্রাম ফ্লাইট থাকলে আবারো হঠাৎ করে ফ্লাইট বন্ধ করে দেন। এয়ার আরবিয়া সকল যাত্রীকে আবার ২৯ শে এপ্রিলের ফ্লাইটে টিকেট পুনরায় রি ইস্যু করে দেন । গত 27 তারিখের এয়ারলাইন্সের ঘোষণায় চট্টগ্রামের যাত্রীরা বিপাকে পড়ে। যাত্রীরা অভিযোগ করেন অন্ততপক্ষে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট আমিরাত থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম দিলে তাহলে আমাদের কোন অসুবিধা হতো না। যাত্রীরা অভিযোগ করেন যদি আবুধাবি দুবাই সারজা থেকে সরাসরি টাকা দেওয়া যায় তাহলে চট্টগ্রামের সমস্যাটা কোথায়? আরব আমিরাতে প্রবাসীর মধ্যে চট্টগ্রামের লোক বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে অনেক বেশি রয়েছেন। এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন আমার থেকে তিন থেকে চারবার পরিবর্তন করা হয়েছে অন্যদিকে আমার মা চট্টগ্রামে বেসরকারি মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। আমি অনেকদিন ধৈর্য ধরার পরে আজকে দুবাই থেকে ঢাকা এবং ৬ ঘন্টা বিরতির পর চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য ফ্লাইট এর টিকিট করেছি। জানিনা আমি দেশে যাওয়া পর্যন্ত আমার মা বেঁচে থাকবেন কিনা। অন্যদিকে এরকম অনেক প্রবাসী আছেন বিভিন্ন কোম্পানি থেকে ছুটি নিয়ে দেশে যাওয়ার জন্য বসে আছেন। আগামী ঈদের সময়ে আমরা দেশেই ঈদ উদযাপন করার জন্য এবং পরিবারের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার পাশে দাঁড়ানোর জন্য টিকেট কেটে দেশে ছুটিতে যাচ্ছি। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি আগামীতে আমিরাত থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে ফ্লাইট চালু করা হোক অন্যতায় আমরা অনেক কষ্টে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে হবে। আবুধাবি থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য দুবাই আসতে হয়। অন্যদিকে আবুধাবি থেকে দুবাই যাওয়ার জন্য গাড়ির খরচ অনেক পরে। আমরা এই দূর প্রবাসে সামান্য বেতনে চাকরি করে দুবাই যেতে ৩ থেকে ৪শ দেরহাম অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া দিতে হচ্ছে। সরকারের প্রতি আকুল আবেদন এই প্রবাসীদের দিকে তাকিয়ে আমিরাত থেকে সরাসরি চট্টগ্রামের ফ্লাইট চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।(সনজিত কুমার শীল আমিরাত প্রতিনিধি 00971556552306)