আন্তর্জাতিক আরব আমিরাত লিড নিউজ

দিল্লীকে দৈনিক ৭০০ টন অক্সিজেন দিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

 

সিনিউজ ডেস্ক

অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের থেকে অক্সিজেন চেয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেন্দ্র সরকারেরও। কিন্তু আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। কিন্তু এবার দিল্লিকে প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবে ৭০০ মেট্রিক টন মেডিক্যাল অক্সিজেন দিতে হবে কেন্দ্রকে, শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এদিন জানায়, দিল্লিতে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ করতে এগিয়ে আসতে হবে কেন্দ্রকে। যদি দিল্লিকে প্রতিদিন ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহ না করা হয়, সেক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নেবে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি জানান, রায়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে বিকেল ৩ টে হতে পারে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রকে এখন থেকেই অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জারি থাকবে এই রায়, জানায় সুপ্রিম কোর্ট।

প্রসঙ্গত, দিল্লিতে অক্সিজেনের অভাবে প্রকট হচ্ছে দিন প্রতিদিন। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। এদিকে ত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ ১৪ হাজার ১৮৮। মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার ৯১৫। আজ পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু’ কোটি ১৪ লাখ ৯১ হাজার ৫৯৮। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার ১৬৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন লাখ ৩১ হাজার ৫০৭ জন। উল্লেখ্য, ভারতের দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমের দেশগুলি। এদিন সকাল থেকে বিদেশ থেকে ভারতে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, ওষুধপত্র এবং অন্যান্য মেডিকেল সাপ্লাই আসতে শুরু করেছে। পোল্যান্ড থেকে ১০০টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর পাঠানো হয়েছে। সুইৎজারল্যান্ড থেকে পাঠানো হয়েছে ১৩ টন মেডিক্যাল সাপ্লাই। IIT বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, দেশে ১১ থেকে ১৫ মে-র মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হতে পারে। ওই সময় দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ছুঁতে পারে ৩৩-৩৫ লাখ। তবে মে মাসের শেষে নাটকীয়ভাবে কমতে পারে করোনার দাপট, গাণিতিক মডেল তৈরি করে এমন তথ্যই দিয়েছেন ওই বিজ্ঞানীরা।
এই প্রসঙ্গে IIT কানপুরের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়রের অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়াল বলেছেন, ‘আমরা দেখেছি যে, ১১-১৫ মে’র মধ্যে ভারতে করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা শিখরে পৌঁছতে পারে। ৩৩-৩৫ লাখ ছুঁতে পারে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। তবে দ্রুতহারে কমবে। মে মাসের শেষে নাটকীয়ভাবে কমতে পারে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা।’

Related Posts