কলকাতা প্রতিনিধি
দেশজুড়ে বেড়েই চলেছে করোনার প্রকোপ। প্রতি মুহূর্তে সংক্রমণের ভয়ে কাঁটা সাধারণ মানুষ এমন পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের ছবি দেখে শিউরে উঠছে দেশবাসী। কারণ এই দুই রাজ্যে গঙ্গা ও যমুনা নদীতে ভেসে বেড়াচ্ছে প্রচুর মৃতদেহ!
হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। রবিবার যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) রাজ্যের হমিরপুর জেলায় এমনই ভয় ধরানো দৃশ্য চোখে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনায় রাতের ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের। করোনা আবহে মৃতের স্তূপ, গণচিতার সাক্ষী হয়েছে দেশ। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেরই আশঙ্কা, যমুনায় ভাসতে থাকা মৃতদেহগুলি করোনা আক্রান্তদের হতে পারে। আর তেমনটা হলে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়বে সংক্রমণ।
সংবাদ প্রতিদিন জানায়,দেশের একাধিক রাজ্যের মতো উত্তরপ্রদেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ফলে কোভিডে মৃতদের দেহ সৎকারের জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। তাই যমুনায় ভাসতে থাকা দেহগুলি করোনা আক্রান্তদের (Corona Positive) হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। একটি ইংরাজি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, স্থানীয় প্রশাসনই নাকি মৃতদেহগুলি যমুনায় ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আবার উত্তরপ্রদেশের একাধিক জেলায় স্থানীয়দের যমুনা নদীতে মৃতদেহ ফেলতেও দেখা গিয়েছিল। করোনায় মৃতদেহের সংখ্যা ধামাচাপা দিতেই নাকি এই কাণ্ড বলেও ওঠে অভিযোগ। এই সমস্ত ঘটনাই নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
হমিরপুরের এএসপি অনুপ কুমার সিং এ প্রসঙ্গে বলেন, “হমিরপুর ও কানপুরের সীমান্ত বরাবর যমুনা নদী বয়ে গিয়েছে। স্থানীয়রা এই নদীকে পবিত্র বলে বিশ্বাস করে এখানে মৃতদেহ ভাসিয়ে দেন।” অর্থাৎ গোটা ঘটনার দায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উপরই কার্যত চাপিয়ে দেওয়া হল।
একইরকম ঘটনার সাক্ষী থাকল বিহারের (Bihar) কাটিহারও। সেখানে দেড়শোরও বেশি কোভিডে মৃতের দেহ গঙ্গায় ভাসতে দেখা গিয়েছে। হাসপাতালে পড়ে থাকা যে সমস্ত মৃতদেহ পরিবারের তরফে চাওয়া হয় না, সেগুলিই নাকি হাসপাতালের কর্মীরা গঙ্গায় ফেলেছে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
সূত্রঃ সংবাদ প্রতিদিন