সনজিত কুমার শীল
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। আজকে আমিরাতের সাতটি প্রদেশে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। আমিরাত সরকারের ঘোষণায় কঠোর স্বাস্থ্য বিধি এবং আইন শৃঙ্খলা মেনে সবাই ঈদের জামাতে শরিক হন।
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ, কিন্তু প্রবাসে বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন,পরিবারের সবাইকে ছাড়া বছরের পর বছর ঈদের আনন্দ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় প্রবাসীরা। প্রবাস জীবনে ঈদ যেনো স্বদেশের ঈদগুলোর হাজারো স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। ঈদ উপলক্ষে প্রবাসে থাকা বাংলাদেশীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত জনাব আবু জাফর।
দেশের ঈদ হচ্ছে আনন্দ ভাগাভাগির, আর প্রবাসের ঈদ হচ্ছে ঈদের নামাজ পড়ে অনেকেন সারাদিন কেটে যায় ঘুমের মধ্যে। দেশের ঈদ উদযাপনের আনন্দ প্রবাসীরা কতটুকু মিস করে তা দেশের মানুষ কোন সময়ে অনুভব করতে পারবেনা, বা বুঝতে চায়ও না!
প্রবাসের ঈদ হচ্ছে কর্মব্যস্ত অন্যন্য দিনের মতই। ভোর চারটায় গোসলের পর ফজরের নামাজ ও ঈদের নামাজের প্রস্তুতি। আর নামাজের পর’ই শুরু হ্য় প্রবাস জীবনের সবচেয়ে অবিচ্ছেদ্য অংশ ঘুম, টানা ঘুম চলতে থাকে দুপুর ঘড়িয়ে বিকাল পর্যন্ত।
আপন মনে লুকানো দুঃখ/কষ্ট কাউকে বুঝতে না দিয়ে মা, বাবা সহ আপন মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ শেয়ার করে যায় হাজারো প্রবাসী। কারন প্রবাসীর কষ্ট একমাত্র প্রবাসী ছাড়া অন্য কেউ বুঝেনা। কেউ বা নিভৃতে বসে নিঃশব্দে চোখের জল ফেলেন, কেউ হয়তো ঢুকরে কেঁদে উঠেন, অনেকের কান্না সংক্রামিত হতে দেখা যায় পাশের রুমের প্রবাসীকেও। কি ভীষন কষ্টের একটি দিন। কে বলবে আজ ঈদ! এমন দিন যেন চরম শত্রুকেও না দেয় এই আশাটাই সবাই করে এই দিনে। দেশে কাটানো ঈদগুলো তখন এক একটা স্বর্ণালী মূহুর্ত হয়ে চোখের সামনে ভাসে। তারপরও জীবন থেমে থাকে না। ঈদ আসে ঈদ যায় চলে।