আন্তর্জাতিক ওপার বাংলা

পশ্চিমবঙ্গে নিম্নগামী করোনা সংক্রমণ, বাড়ছে সুস্থতার হারও

কলকাতা প্রতিনিধি
 বাংলার কোভিড চিত্রে আশার আলো। উল্লেখযোগ্যভাবে কমল দৈনিক সংক্রমণ। বাংলার এদিনের বুলেটিনে আক্রান্তের সংখ্যায় স্বস্তি মিললেও এখনও চিন্তা মৃত্যু নিয়ে। তবে দৈনিক মৃত্যু আরও না বাড়লেও রাজ্যে প্রতিদিনই সংক্রমণের ফলে ১৫০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও করোনা বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি ১৫৩ জন। মৃত্যুর হার না কমায় কিছুতেই কাটছে না উদ্বেগ। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু ১৪, ৮২৭ জন।

তবে গত ২৪ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে করোনা সংক্রমণ। গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার নিম্নমুখী রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক সপ্তাহে প্রথমবার ১৭ হাজারের নীচে। শেষ একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬, ২২৫ জন। মঙ্গলবার এই সংখ্যাটি ছিল ১৭, ০০৫ জন। এদিকে গত একদিনে করোনামুক্ত হয়ে উঠেছেন ১৯ হাজার ০৭১ জন। বেড়েছে সুস্থতার হারও। এই মুহূর্তে রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৯.৫২ শতাংশ।

রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৭ জন। সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সংশ্লিষ্ট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪২৭ জন কলকাতায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা গত ১ দিনে ২ হাজার ৩৭৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। বহুদিন বাদে কলকাতাতেও দৈনিক আক্রান্তের পরিসংখ্যান নামল আড়াই হাজারের নীচে।

অন্যদিকে, দেশের কোভিড পরিসংখ্যানে উদ্বেগ। গতকাল সংক্রমণ একধাক্কায় নেমেছিল অনেকটাই। ভয়ের সময় কেটেছে, ফিরছে স্বস্তি, মনে করছিলেন অনেকেই। কিন্তু ফের একবার দেশের কোভিড গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৬ হাজার ৯২১ জন মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১৫৭ জনের। সংক্রমণে সামান্য লাগাম লাগানো সম্ভব হলেও দিন প্রতিদিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর হার। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ৯৫ হাজার ৯৫৫ জন।

প্রবীণ নয়, তরুণদের শরীরে জাঁকিয়ে বসছে করোনা। ১ মে থেকে ভারতে মোট কোভিড আক্রান্তের মধ্যে ২৬ শতাংশেরই বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া এই তথ্য সামনে আসার পরেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রের টিকাকরণ নীতিও।

১ মে থেকে ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ চালু হয়েছে। তার আগে কেন এই নির্দিষ্ট বয়সের তরুণ তরুণীদের টিকা দেওয়া শুরু করল না, প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। কেন্দ্র সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১ মে থেকে ৭ মের মধ্যে মোট আক্রান্তের ২৬.৫৮ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। ৭ মে থেকে ১৪ মে এই সংখ্যাটা ছিল ২৫.৮৯ শতাংশ।এরপরেই আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে ৩১ থেকে ৪১ বয়সের ব্যক্তিরা। মে মাসের ১ তারিখ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে মোট করোনা আক্রান্তের ২৩.১২ শতাংশই ৩১ থেকে ৪১ বছর বয়সী। করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ে বেশি প্রভাবিক হয়েছিলেন প্রবীণরা। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রবীণদের পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মও সমানভাবে সংক্রামিত হচ্ছে, তথ্য জানান দিচ্ছে এমনটাই।

Related Posts