সিনিউজ ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রীকে দাড়ি কাটার জন্য ১০০ টাকা মানি অর্ডার করলেন এক চা বিক্রেতা। এই ‘দুঃসাহস’ দেখিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের এক চাওয়ালা। বারামতির ইন্দ্রপুর রোডে একটি হাসপাতালের কাছেই ওই ব্যক্তির চায়ের দোকান। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীও নিজেকে ‘চাওয়ালা’ বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তিনিও অতীতে একজন চা বিক্রেতা ছিলেন। কিন্তু, কেন হঠাৎ নাপিত-খরচ বাবদ টাকা পাঠালেন বর্তমানের চাওয়ালা?
নিজের মুখেই সেই টাকা পাঠানোর কারণ একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন ‘চাওয়ালা’। তিনি বলেছেন,” যদি কিছু বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকে, তবে দেশে কর্মক্ষেত্র বৃদ্ধি করুন। বাড়িয়ে তুলুন দেশে টিকাকরণের হার। হাসপাতালের সংখ্যাও বাড়াতে হবে”। প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছেন তিনি। সেখানে লিখেছেন, “করোনায় আক্রান্ত মৃতের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে কেন্দ্র সাহায্য করলে উপকার হবে। পাশাপাশি লকডাউনে রোজগারহীন পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে সাহায্য করুক কেন্দ্র। লকডাউনে তাঁর চায়ের ব্যবসারও ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের ওই চাওয়ালা”।
তিনি বলেছেন, ‘‘লকডাউনে প্রধানমন্ত্রী নিজের দাড়ি বাড়িয়েছেন। কিন্তু তা না করে, কাজের সুবিধা থেকে শুরু করে টিকাকরণ, হাসপাতালের সংখ্যা বাড়ানোর দিকে মন দেওয়া উচিত ছিল।” তাঁর মতে এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত, দেশের মানুষ যে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দুর্দশার মধ্যে পড়েছে সেই সমস্যা দূর করা। যা চিঠিতেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
তবে তিনি এও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। আমার জমানো ও রক্তজল করা টাকা থেকেই এই টাকা পাঠিয়েছি। যা দিয়ে যেন উনি নিজের দাড়ি কেটে ফেলেন। মূলত, দেশের গরিবদের অবস্থা প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর জন্য ও দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই এই পথ আমি বেছে নিয়েছি।
সূত্র এইসময়