চট্টগ্রাম

টাইগারপাসকে বাদ দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করার দাবি

 

টাইগারপাসের সৌন্দর্য্য অুক্ষন্ন রেখে দেশের অন্যতম বৃহৎ এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সেভ টাইগারপাস মুভমেন্টের কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে বুধবার (২৩ জুন) গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন সংগঠনটির আহ্বায়ক বিপ্লব পার্থ ও সদস্য সচিব আদিল কবির চৌধুরী।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বর থেকে মানববন্ধন ও সমাবেশের মাধ্যমে আমরা দাবি জানিয়েছিলাম যে টাইগারপাসের সৌন্দর্য্য অুক্ষন্ন রেখে টাইগারপাস মোড় থেকেই এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ করা হোক। সেই সমাবেশে চট্টগ্রামের পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করে। এতে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকান্ডও পরিচালিত হবে। তখন তৎকালীন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়অরম্যঅন আবদুচ ছালামকে স্মারকলিপির মাধ্যমে টাইগারপাসকে বাদ দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণের যৌক্তিকতা তুলে ধরি। তখন সিডিএ চেয়ারম্যান বলেছিলেন, নকশা পরিবর্তন করে টাইগারপাস মোড় থেকে কিভাবে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ করা যায় সেটি তারা করবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সিডিএ আবার লালখান বাজার থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু করতে চাচ্ছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। সিটি করপোরেশনের আপত্তির সাথে চট্টগ্রামের আপামর জনগণও একমত।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, চট্টগ্রামের অপরূপ সৌন্দর্য এবং সবুজ প্রাকৃতিক মনোরম পাহাড়িভূমির নাম টাইগারপাস। চট্টগ্রামে অবস্থিত পাহাড় এবং বৃক্ষবেষ্টিত চিরহরিৎ এই এলাকাটি দেখে মুগ্ধ হন না এমন মানুষ বিরল। এই সড়কের মোড়ে বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ভাস্কর্য রয়েছে। এছাড়া রাস্তার একপাশে রয়েছে কৃত্রিম ঝরনা। পাহাড়টির প্রাকৃতিক আবেদন এক কথায় অসাধারণ। চট্টগ্রাম হচ্ছে পাহাড়, নদী ও সাগরের সংমিশ্রনে তৈরী। এই তিনটি উপাদানের একটিও যদি নষ্ট হয় তবে চট্টগ্রাম তার মৌলিকতা হারাবে। আমাদের শঙ্কা, এলিভেটেড এক্সপ্রেস নির্মাণ করতে গিয়ে এই পাহাড়ের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হবে। ব্যস্ত কোলাহলময় শহরের বিপরীতে পুরোদস্তুর অবকাশ কাটানোর এই টাইগারপাসকে বাদ দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেস নির্মিত হলে সেটি অধিকতর পরিবেশসম্মত হবে বলে সচেতন মহল মনে করেন। যদি এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে টাইগারপাসের পর থেকে শুরু হয় তাহলে শহরের মনোরম সৌন্দর্য্য অক্ষুণœ থাকবে। কিন্তু এ প্রকল্প টাইগারপাসের উপর দিয়ে গেলে প্রকৃতির চরম ক্ষতি হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আশাকরি চট্টগ্রামের জনমানুষের প্রাণের দাবি আপনার কান পর্যন্ত পৌছাবে।

Related Posts