মো.এমরান হোসেন,ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঘোষিত লকডাউন কার্যকরে মাঠে বুধবার (২৩ জুন) সকাল থেকে কাজ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন চলমান থাকবে। তবে প্রথমদিনের লকডাউন ছিল অনেকটা ঢিলেঢালা। বুধবার ফটিকছড়ি উপজেলার সদর ও খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে। তবে বিভিন্ন ইউনিয়নে দোকানপাট খোলা রেখেই বেচাকেনা চলছে । এছাড়া ফটিকছড়ির বিভিন্ন সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন অজুহাতে মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে যাতায়াত করছেন । এছাড়া অনেককেই মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করতে দেখা গেছে।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়েদুল আরেফিন বলেন, মানুষকে সচেতন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে । এছাড়া লকডাউন কার্যকরের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। পুলিশও টহল দিচ্ছে। সবকিছুই মোটামোটি বন্ধ আছে। অভিযান চালিয়ে সর্তক করার পাশাপাশি জরিমানাও করা হয়েছে। যেহেতু এ উপজেলার মধ্যদিয়ে আন্তঃজেলা সড়ক রয়েছে তাই যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরো বলেন, বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) থেকে প্রশাসন আরও কঠোর হবে। যারা নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন চেয়ারম্যান ফটিকছড়ির এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেছেন, সমস্ত মার্কেট ও খাবার দোকান বন্ধ থাকবে কিন্তু প্রথম দিনে কোন কোন ব্যবসায়ী খোলার চেষ্টা করেছে। এলাকা বাসীর ভালোর জন্য এ লকডাউন । আমি পরিস্কারভাবে নির্দেশনা দিয়েছি যদি এর পরেও কেউ খোলার চেষ্টা করলে তাহলে জরিমানাসহ তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে এবং প্রয়োজনে জেল দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য,মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত প্রতিরোধ কমিটির সভায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ফটিকছড়ি উপজেলায় ২৩ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে ৩০ তারিখ রাত ১২টা পর্যন্ত কার্যকর থাকব।