উপজেলা চট্টগ্রাম

ফটিকছড়িতে প্রবাসীর গলিত মরদেহ ও ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

 

মো.এমরান হোসেন.ফটিকছড়ি,
ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুরে নিখোঁজ আব্দুস সালাম (৫০) নামের এক প্রবাসীর অর্ধগলিত লাশ ও মুহাম্মদ ইদ্রিছ (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে ভূজপুর থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে থানাধীন দাঁতমারা ইউনিয়ন এলাকা থেকে প্রবাসীর অর্ধগলিত লাশ ও এর আগে শুক্রবার রাতে ভূজপুর ইউনিয়ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, ১ জুলাই দিবাগত রাতে ১২টার দিকে হঠাৎ ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি আব্দুস সালাম । অনেক খুঁজাখুঁজির পর কোন সন্ধান না পেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। অবশেষে শনিবার (০৩ জুলাই) সকালে কাঞ্চনা ছড়ায় স্থানীয়রা একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে ভূজপুর ও দাঁতমারা ফাঁড়ির পুলিশ যৌথভাবে তার অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে। নিখোঁজ হওয়ার দিন এলাকায় খুব বৃষ্টি ছিল বলে অসাবধানাবশত ছড়ায় পরে গিয়ে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা। তবে আব্দুস সালাম মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আই.সি গোলাম আবছার বলেন, সকালে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছি । এসময় এডিশনাল এসপি স্যার ও ভূজপুর থানার ওসি স্যার উপস্থিত ছিলেন। গলিত লাশের অবস্থা খুব খারাপ থাকায় নিহতের পরিবারের অনুরোধে লাশটি দাপন করতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূজপুর এলাকার মাতব্বর বাড়ির মৃত মুন্সি মিয়ার ছেলে মুহাম্মদ ইদ্রিছের স্ত্রী-সন্তান শহরে বসবাস করলেও তিনি একা বাড়িতেই থাকতেন। স্থানীয় কাজিরহাট বাজারে তার একটি মুদি দোকান রয়েছে। প্রতিদিন সকালে তিনি দোকান খুললেও ঘটনার দিন দোকান খুলেননি। সে কারণে দোকানের গ্রাহক ও পরিচিতজনরা তাকে ফোন করেও পাচ্ছিল না। পরে বাড়িতে খবর দিলে শুকবার রাত ৮ টার দিকে প্রতিবেশী মাসুদ ও ফোরক নামে দুইজন ঘরে গিয়ে ডাকতে থাকেন। তাতেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে একপর্যায়ে তারা দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন । এ সময় ঘরের মাঝখানের কক্ষের ভিমের সাথে গামছা দিয়ে ঝুলানো অবস্থায় ইদ্রিছের লাশ দেখতে পান। পরে ভূজপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
খবর নিয়ে জানা গেছে, ইদ্রিছের তিন ছেলের মধ্যে প্রথম সন্তান সাইমন একটি বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। ছেলের মেডিকেলে ভর্তির বড় অংকের টাকার যোগাড় নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে টেনশনে ছিলেন ইদ্রিছ। এ নিয়ে স্ত্রীর সাথেও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় বলে সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ভূজপুর থানা ওসি আছহাব উদ্দিন বলেন, আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।

Related Posts