রুপন দত্ত – আনোয়ারা প্রতিনিধি
ফসফরিক এসিডের অভাবে ডিএপি এফসি এল কারখানাটি বন্ধ
হয়ে গেছে। ফলে কারখানাটি বড় ধরনের অার্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এদিকে ফসফরিক এসিড আমদানিকৃত ক্রয়প্রস্তাব দরপত্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন না পেলে কারখানার সার উৎপাদন বন্ধ থাকবে।কারখানা সার উৎপাদন ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়ছে। জানা যায়, ১জুলাই থেকে ফসফরিক এসিড মজুদ শুন্য হওয়ায় ডিএপি সার কারখানা উতপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।গত ৪ দিন ধরে কারখানার সার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বিসিআইসি নিয়ন্ত্রণাধীন আনোয়ারা উপজেলার রাঙ্গাদিয়া এলাকায় অবস্থিত ডিএপি এফসিএল কারখানা। কারখানার দরপত্রের বিপরীতে প্রাপ্ত টিইসি কর্তৃক মূল্যায়িত সর্বনিম্ন দুইজন দরদাতা হতে তিন লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন একশত সাতাত্তর কোটি চৌত্রিশ লক্ষ সাতাশ হাজার দু’শত চুয়াল্লিশ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয়ের প্রস্তাব আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ মোতাবেক সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে অনুমোদন লাভের জন্য গত ২ র জুন শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয় কমিটিতে প্রেরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ২০ জুন কয়েকটি বিষয় মতামত চেয়ে পর্যবেক্ষণ প্রেরণ করে। সে অনুযায়ী দ্রুততার সাথে ২২ শে জুন প্রয়োজনীয় মতামত প্রেরণ করা হয়। প্রস্তাবটি গুরুত্ব বিবেচনায় ডিএপি এফসিএল কারখানার পক্ষ হতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডেস্ক কর্মকর্তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করলেও গত পহেলা জুলাই প্রস্তাবটিতে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রেরিত হয়নি। ক্রয়ের দাখিলকৃত দরপত্রের প্রস্তাবটির বৈধতার সময়সীমা হচ্ছে ২৩ শে জুলাই। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মন্ত্রিসভার অনুমোদন না পেলে কারখানাটি বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।সার উৎপাদন বন্ধ থাকবে কৃষি মন্ত্রণালয়কে এক লক্ষ টন সার সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। কারখানাটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে মেশিনের যন্ত্রপাতির নষ্ট হতে পারে। যার রক্ষণাবেক্ষণে বহু টাকা লাগবে।এ ব্যাপারে কারখানার জি এম অপারেশন ম্যানেজার আব্দুর রহমান বাদশার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ফসফরিক এসিড ক্রয়ের প্রস্তাবটি অনুমোদন না পেলে কারখানাটির সার উৎপাদন বন্ধ থাকবে। কারখানাটি বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ডিএপি সার কারখানার সিবিএ সভাপতি ফরিদ আহাম্মদ জানায় নির্ধারিত সময়ে ফসফরিক এসিড পাওয়া না গেলে আগামী এক বছর কারখানার সার উৎপাদন-করা সম্ভব হবেনা। কর্মকর্তা কর্মচারী, শ্রমিকরা টেনশনে রয়েছে