সিনিউজ ডেস্ক
ভারতে এক বাংলাদেশি তরুণীকে বর্বর নির্যাতনের ঘটনায় মামলার তদন্ত মাত্র ‘পাঁচ সপ্তাহেই’ শেষ করল বেঙ্গালুরু পুলিশ। ইতোমধ্যে মামলার চার্জশিট স্থানীয় আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় জড়িত অন্তত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ। আলোচিত এ মামলার তদন্ত দ্রুত সমাপ্ত করায় লাখ রুপি পুরস্কার পাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট টিমের সদস্যরা।
বেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার কমল পান্ত বৃহস্পতিবার টুইটারে জানিয়েছেন, গ্রেফতার ১২ জনের মধ্যে ১১ জনই বাংলাদেশি নাগরিক। এদের মধ্যে দুইজন নারীও রয়েছেন। ঘটনার তদন্ত পুরোপুরি শেষ হয়েছে এবং ১ হাজার ১৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ চার্জশিট আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।
এসময় তদন্তকারী টিমের কর্মদক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করে তাদের জন্য এক লাখ রুপি পুরস্কারের কথাও জানান বেঙ্গালুরুর পুলিশ প্রধান।
এর আগে, গত মে মাসের শেষের দিকের ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশেই তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে ৩-৪ যুবক শারীরিক ও বিকৃত যৌন নির্যাতন করছে। তাদের পাশে অপর একটি মেয়েকেও দেখা যায়। ভিডিওটি ধারণ করা হয় ভারতে।
পরে নির্যাতনের শিকার সেই বাংলাদেশি তরুণীকে উদ্ধার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে।
বেঙ্গালুরু পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, অর্থনেতিক বিবাদের করণেই ভুক্তভোগীকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। তাকে কাজের কথা বলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে নেয়া হয়েছিল।
পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নির্যাতনসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। আসামিদের গ্রেফতার ও তদন্তকালে পালানোর চেষ্টা করলে তিনজন পুলিশের গুলিতে আহতও হন।
ভারতে বাংলাদেশি তরুণীকে নির্যাতনের ওই ঘটনায় বাংলাদেশেও মামলা হয়েছে। ভিডিওতে নিজের মেয়েকে শনাক্তের পর রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মানবপাচারের মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা