উপজেলা চট্টগ্রাম

প্রধানমন্ত্রীর মানবিক উদ্যোগকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় আছে বিরোধীরাঃ ফটিকছড়িতে আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শনকালে ডিসি

 

মো.এমরান হোসেন,,ফটিকছড়ি  প্রতিনিধি
দেশের বিভিন্ন জায়গায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেয়া ঘর ভেঙ্গে যাওয়া কিংবা ফাটল ধরার ঘটনায় এবার চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ফটিকছড়িতে দু’টি আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন।
শনিবার (১০জুলাই) দুপুর দেড়টায় ফটিকছড়ির পাইন্দং আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহ ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ন প্রকল্প একটি নজীরবিহীন মানবিক উদ্যোগ হিসেবে বিশ্বব্যাপী যখন প্রসংশিত হচ্ছে; তখন একটি বিরোধী গোষ্টি সেই উদ্যোগকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে সকলকে এগিয়ে আসার জন্য বলা হলেও বিরোধীতাকারী কেউ একটি ঘরও আজতক করে দেননি। শত-সহস্র নির্মিত ঘরের মধ্যে ১% হয়তো নানা কারণে নষ্ট হতে পারে; তবে ৯৯% ঘরে কোন সমস্যা দেখছি না। ফটিকছড়ি সেক্ষেত্রে নজীর হতে পারে। তবে যে সব ঘর গুলো নষ্ট হয়েছে; সে গুলো আমরা সরকারের তরফ থেকেই সংস্কার কিংবা পুনর্নিমাণ করে দেব। কিন্তু তা নিয়ে কি যে হৈ চৈ শুরু হয়েছে। এসময় তিনি দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ ও গাছের চারাও বিতরণ করেন।
এ ঝটিকা পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মোঃ আবু তৈয়ব,ফটিকছড়ির ইউএনও মোঃ সায়েদুল আরেফিন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তা,ভাইস চেয়ারম্যান ছালামত উল্লাহ চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিসান বিন মাজেদ, ফটিকছড়ি পৌর মেয়র মোঃ ইসমাঈল হোসেন, পাইন্দং ইউপি চেয়ারম্যান একেএম সরোয়ার হোসেন স্বপন, কাঞ্চননগর ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দীন চৌধুরী কাতেব,সমিতিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ইমন প্রমূখ।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী মুঠোফোনে বলেন, ফটিকছড়িতে সরকারী বরাদ্দের চেয়ে বেশী টাকা আমরা বিভিন্ন ভাবে যোগান দিয়ে ঘর গুলোকে টেকসই করার চেষ্টা করেছি। যা অন্য কোথাও হয়েছে কি-না; আমার জানা নেই। আমার এলাকার ৬ শ’ গৃহ নির্মিত হয়েছে; আমরা চেষ্টা করেছি- যাতে অসহায় মানুষ গুলো সেখানে স্বাচ্ছন্দে বসবাস করতে পারে। ৪টি বড় আশ্রয়ন প্রকল্প তথা পাইন্দং, খিরাম, ভূজপুর ও ফটিকছড়ি পৌর এলাকার আশ্রয়ন প্রকল্পে মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও প্রাইমারী স্কুল করে দেয়া হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোঃ আবুল হোসেন জানান, ফটিকছড়ির বাগান বাজারে ৩০টি, নারায়ণহাটে ১০টি, ভূজপুরে ৮৭টি, পাইন্দং-এ ২৩৩টি, কাঞ্চননগরে ১০টি, সুয়াবিলে ৩৫টি, রোসাগিরীতে ৫টি, ধর্মপুরে ১৫টি, খিরামে ৯৫টি, ফটিকছড়ি পৌরসভায় ৮০টি; সর্বমোট ৬০০টি গৃহ নির্মিত হচ্ছে।

Related Posts